প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে সফলতার সঙ্গে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে খুব কম দল বা মানুষ জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারে বা জনগণের কল্যাণে একটানা কাজ করতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা করতে পেরেছে। আমরা এটা প্রমাণ করেছি।’
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসনে থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা একসময় ভোট কারচুপি করত তারা এখন দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে সোচ্চার।
তিনি বলেন, ‘যারা আগে ভোটের চোর-ডাকাত ছিল তারা এখন গণতন্ত্র চায় এবং ভোটাধিকারের কথা বলছে। তাদের জন্ম অবৈধ উপায়ে। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে এই ধরনের কথা (আঘাত) শুনতে হবে।’
আ.লীগ সভাপতি তার দলের নেতাকর্মীদের এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করে জনগণের পাশে থেকে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে তাদের দলের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে বলেছেন।
‘আমাদের জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। জনগণের আস্থাই আমাদের ক্ষমতার একমাত্র উৎস। এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো ক্ষমতা নেই।
সন্ত্রাস, হত্যা বা যুদ্ধাপরাধী দলগুলো যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য তিনি তৃণমূল থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী করে পুনর্গঠন করতে দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এবং অন্যরা লুণ্ঠনকারীদের দল।
‘সুতরাং, আমি আপনাদের সকলকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব যাতে সন্ত্রাসবাদ, হত্যাকাণ্ড বা যুদ্ধাপরাধী দলগুলো বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি পারে।’
আরও পড়ুন: ৭৫তম নাকবা দিবস: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর