বছরের শেষ দিনে ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে সোয়া ৫ ঘণ্টার মতো বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করেনি।
মাঝ নদীতে কুয়াশার কারণে আটকা ছিল দুটি ফেরি। বাকি সব ফেরি দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে নোঙরে ছিল। দুর্ভোগের শিকার হন চালক ও যাত্রী সাধারণ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানিয়েছে, ৩ দিন বিরতির পর ২০২৩ সালের শেষ দিন শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে। অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়তে থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে রাত সাড়ে ৩টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চতুর্থ দিনের মতো ফেরি চলাচল ব্যাহত
এর আগে রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান এবং কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি করবী মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে আটকা ছিল বলে জানান তিনি।
এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, ভাষা শহীদ বরকত, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা, কেরামত আলী, শাহ পরান, ফরিদপুর, হাসনা হেনা ও বনলতা নামক ৮টি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, এনায়েতপুরী এবং রজনীগন্ধ্যা নামক ৩টি ফেরি যানবাহনবোঝাই করে নোঙরে ছিল। প্রায় সোয়া ৫ ঘণ্টা পর আজ রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে ফেরিগুলো ঘাট ছাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চলতে শুরু করেছে ফেরি
এর আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এই শীত মৌসুমে ২৩ ডিসেম্বর সকালে আকস্মিক ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টার মতো ফেরি বন্ধ থাকে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর প্রায় ৮ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর ৬ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর ৬ ঘণ্টা এবং ২৭ ডিসেম্বর প্রায় ৪ ঘণ্টাসহ মোট সাড়ে ২৫ ঘণ্টার মতো এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ দিনে কুয়াশায় নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। শনিবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে সোয়া পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল।’
আরও পড়ুন: চালু হতে না হতেই চিলমারী নৌ-বন্দরের ফেরি সার্ভিসে বিপত্তি