আহত নরেন সরকার উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান চল্লিশপাড়ার প্রমথ সরকারের ছেলে। তিনি ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোসাইবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন শাকিল আকন্দ (১৯)। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো শাকিল। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা এ বিষয়টি নিয়ে শাকিল আকন্দের বাবাকে জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৮ মে বিকালে শাকিল ও তার সহযোগী সুজন জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে এক মাস ধরে আটক রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শাকিল।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত ১ জুন শাকিল আকন্দসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়েল করেন। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫ জুন নিলফামারী জেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এছাড়া গত সোমবার সন্ধ্যায় গোসাইবাড়ী বাজার এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এরপরই ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মামলার বাদী নরেন সরকারকে কুপিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে নরেন সরকার বলেন, ‘আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকির এক পর্যায়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করেছে। তাদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি আমার মেয়েকে অন্যত্র গোপন করে রেখেছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহত বাদীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।