কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাই দেখা গেছে এখন পর্যন্ত। ভোটারেরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিমাই সরকার নগরকান্দা মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ইউএনবির এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে নির্বাচন সুষ্ঠ হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব। ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ভোটগ্রহণে একটু বিলম্ব হচ্ছে, তবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়।’
চতুর্থ ধাপে পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
একই কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলিমুজ্জামান সেলু বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছেন। তবে ভোটগ্রহণ অনেক ধীর গতিতে হচ্ছে। এটি কোনো কৌশল কিনা জানিনা। নির্বাচন এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ধানের শীষ বিজয়ী হবে।’
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন এখন পর্যন্ত সুষ্ঠ হচ্ছে। আশা করছি সকলেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে এবং কোনো কারসাজি ছাড়াই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
সাধারণ ভোটার এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, নিরপেক্ষ ভোট হচ্ছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও, তেমন বড় কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ, অনিয়ম, বর্জনে ৩য় ধাপের পৌর নির্বাচন সম্পন্ন
তিনি জানান, নগরকান্দা পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৬৬৩ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৪ হাজার ৩৩০ জন এবং পুরুষ ৪ হাজার ৩৩৩ জন।
নগরকান্দা পৌরসভার এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে নিমাই সরকার, বিএনপির ধানের শীষে আলিমুজ্জামান সেলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান মাসুদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কামরুজ্জামান মিঠু, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আরিফ আহমেদ বিপ্লব ও মনিরুজ্জামান তুহিন।
পৌর নির্বাচন: পঞ্চম দফার জন্য আ’লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত
এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন কাউন্সিলর ও ১৩ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী রয়েছেন।