নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) অর্থায়নে “উন্নয়ন দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও নেপালে উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের আয়তন সমান হলেও চাষাবাদের জমির পরিমাণে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। নেপালের অধিকাংশ অঞ্চল হিমালয়ান পর্বতভূক্ত হওয়ায় চাষাবাদ সেখানে খুবই কঠিন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রকল্পটির পিআই অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও জানান, নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে চালু রয়েছে। এটি চলবে ৩১ আগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত।
কর্মশালায় নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন দেশটির এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী।
বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।