খাগড়াছড়ির দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্রগুলো হলো- শহরের অদূরে অবস্থিত আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা, পানছড়ির মায়াবিনী লেক এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক।
গত সপ্তাহে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে আরও জানানো হয়, পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য পর্যটকদের মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় ভ্রমণ না করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে পর্যটকদের আগমণ বাড়তে শুরু করেছে। মানুষের পদচারণ না থাকায় খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রকৃতি তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। প্রকৃতিও আগের চেয়ে অনেক শান্ত ও নির্মল হয়ে উঠেছে। সড়কের দু ধারে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। সকালে জেলার প্রধান ব্যস্ততম এলাকা শাপলা চত্ত্বরে কয়েকজন পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা গেল তাদের স্বস্তি ও উচ্ছ্বাসের কথা।
পর্যটকরা বলেন, করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কিংবা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টায় ঘরবন্দী জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। তাই খাগড়াছড়ি পাহাড়ি জেলায় ঘুরতে আসা।
আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, তারেং পাহাড়, জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক, কৃষি গবেষণা উদ্যান ও মায়াবিনি লেক ঘুরে বেড়াবেন বলে জানান তারা।
এদিকে, পর্যটকদের আগমণে জেলার আবাসিক হোটেল ও মোটেলগুলোতে বুকিং বেড়েছে। বেড়েছে রেস্টুরেন্টের বিক্রি ও ভাড়া পাচ্ছেন পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি কিংবা জিপ গাড়ির চালকরা।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় এ অঞ্চলের কর্মহীন হয়ে পড়া আবাসিক হোটেল মোটেলের ৪ হাজারের অধিক শ্রমিক, কর্মচারী, পর্যটক গাইড ও সহস্রাধিক পরিবহন ও পরিবহন শ্রমিক আবারও তাদের আয়ের পথ ফিরে পাবেন।
খাগড়াছড়ির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহল ধারণা করছেন, পর্যটকের আসা যাওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধের কারণে যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।