পর্যটন কেন্দ্র
৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হলো সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
শুক্রবার (৭ জুন) থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক সুনজিত কুমার চন্দের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হচ্ছে- গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং জৈন্তাপুরের লালাখাল ও ডিবির হাওর।
আরও পড়ুন: সিলেটের ৭ উপজেলায় বন্যা, সাড়ে ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দেশনামা না মানার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
শর্তগুলো হলো-
১. সব নৌকাতে লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে এবং পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ঘাট থেকে নৌকা ছাড়তে হবে।
২. পর্যটকরা পানিতে নামতে পারবেন না বা পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে পারবেন না।
৩. ভরা বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের শিশু ও বাচ্চা নিয়ে আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
৪. পর্যটকরা নৌকায় উঠে হই-হুল্লোড় করবেন না, নৌকায় উঠে সুশৃঙ্খলভাবে বসে থাকবেন।
৫. মাঝিরা পর্যটকদের সঙ্গে সবসময় ভালো আচরণ করবেন।
৬. আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে বন্ধ করা পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নৌকায় পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে।
এর আগে গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পিয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: এখনও পানিবন্দি ৬ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ
৪ মাস আগে
অতিথি পাখিতে মুখরিত রাণীসাগর দিঘি
অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন রাণীসাগর দিঘি। পাখি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বেড়েছে। পুরো দিঘির জলাশয় সেজেছে নতুন সাজে। দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যে সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রতি বছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিকে সাজায় নতুন সাজে।
পাখিদের কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা।
রাণীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রাণীসাগরের অবস্থান।
আরও পড়ুন: শীতের অতিথি পাখি দেখতে কোথায় যাবেন?
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র রামরাই দিঘি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখিপ্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্রের পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন।
কিন্তু স্থানীয় ও পর্যটকদের মতে, কিছু লোক লেকে পোল্ট্রি বর্জ্য ফেলে পানি দূষিত করায় অতিথি পাখিরা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পর্যটকদের প্রায়ই হ্রদে বা এর তীরে ফেলা বর্জ্য থেকে নির্গত দুর্গন্ধ থেকে সুরক্ষার জন্য মুখ ঢেকে রাখতে দেখা যায়। তবে কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে যথেষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার
২ বছর আগে
করোনা পজিটিভ হলে ১০ দিনের আইসোলেশন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
যাদের করোনা পজিটিভ হয়েছে, তাঁদের ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ১০ দিন পর জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গ চলে গেলে তিনি আবার তাঁর কাজে ফিরে যাবেন। কাজে ফিরে যাওয়ার শর্ত হিসেবে আগে আরটিপিসিআর সনদ নিয়ে যেতে হতো, সেটিকে আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজার ১৮৩
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখছি দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা দেখছি এই সুযোগে অনেক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিনোদন, পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব কারণেই কিন্তু সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না, দিনদিন বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে, পুরো বাংলাদেশে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ছিল প্রবল, কিন্তু সেই সময়ে প্রভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও শতকরা হিসাবে শনাক্তের হার এবং মোট রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরু থেকে আমরা দেখেছি কিভাবে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে কোনক্রমেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়েছে। আমরা যদি মৃত্যুর সংখ্যাটি দেখি, তাহলে দেখা যায় ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩/৪ জনে ছিল। এখন মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে প্রতিদিন গড়ে ২০/২৫ জন মারা যাচ্ছে। কাজেই আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার যেমনটি বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের টিকা কর্মসূচিও বেগবান হয়েছে। যারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এবং বুস্টার ডোজের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, এমনকি যারা টিকার বার্তাও পেয়েছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে টিকা নিতে পারেননি, তারা সুস্থ হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে
২ বছর আগে
পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি হোটেল/মোটেলে ৫০শতাংশ আবাসন খালি রাখার কথা থাকলেও আবাসন খালি রাখছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান ইউএনবিকে জানান, কক্সবাজারসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক সংখ্যা বেশি হওয়ায় হোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশ আবাসন খালি রাখার ইচ্ছা থাকলেও সরকারের শর্ত মানছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ। পর্যটন এলাকায় প্রতিটি হোটেলে প্রচুর পর্যটক রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্হ্যবিধি নিশ্চিতের ওপর স্হানীয় প্রশাসনকে আরও জোর দিতে হবে। তানাহলে, এখন যেভাবে স্বাস্হ্যবিধি না মেনে পর্যটক আসছে তাতে কোভিড বাড়ার আশংকা রয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে কী পরিমাণ পর্যটক কেরি করা যাবে বা প্রতিদিন কতজন পর্যটক আসা যাবে। এ বিষয়ে পর্যটক সংখা নির্ধারণ করতে পারলে স্বাস্হ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। পাশাপাশি স্হানীয় প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং থাকতে হবে। দেশের অন্যতম টুরিস্ট এলাকা কক্সবাজার । সেখানে ছোট বড় হোটেল/মোটেল আছে ৫০০ উপরে। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ( টিওএবি) সভাপতি রাফিউজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, উম্মুক্ত স্হানে টুরিস্টরা কোনো স্বাস্হ্যবিধি মানছে না । টুরিজম আসলে কন্ট্রোলে থাকে না। আমরা মিটিং করে অপারেটরদের বলছি, স্বাস্হ্যবিধি মেনে ট্যুর অপারেট করতে। কিন্তু যারা ব্যক্তিগতভাবে যাচ্ছেন, এসব টুরিস্টরা আসলে স্বাস্হ্যবিধি তেমন মানছেন না। ব্যক্তিগতভাবেই বেশি পর্যটক গিয়ে থাকেন ।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর ৬ শর্তে খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র
তিনি বলেন, এখন ছুটির দিনে কক্সবাজারসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। সরকার স্বাস্হবিধি মেনে চলার কথা বললেও তেমন মানছে না । দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় মানুষ কোথাও বেড়াতে যেতে পারছিল না। খুলে দেয়ার পর প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে এখন প্রচুর পর্যটক রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে হোটেলগুলোর ৫০ শতাংশ আবাসন খালি রাখছে কি না জানতে চাইলে সভাপতি বলেন, পর্যটন এলাকায় পাঁচ তারকা ও উন্নত মানের হোটেলগুলো স্বাস্হ্যবিধি মেনে হয়তোবা আবাসন খালি রাখছে। কিন্তু ছোট খাট হোটেলগুলো কোনো আবাসন খালি রাখছে না। তবে এ বিষয়ে স্হানীয় প্রশাসন বলতে পারবে ৫০ শতাংশ আবাসন খালি রাখার বিষয়ে কতটুকু কোন হোটেল মানছে।
তিনি বলেন, পর্যটন এলাকায় স্হানীয় প্রশাসন মাইকিং ও ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। সেটি আরও জোরদার করতে হবে। স্বাস্হ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে ট্যুরিস্টদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্হ্যবিধি না মানলে কোভিড বাড়ার আশংকা রয়েছে।
দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে কক্সবাজার এলাকায় ভালো মানের হোটেলে বুকিং আগে থেকে দিতে হয়। পর্যটকদের চাহিদা থাকায় এখন প্রায় প্রতিটি হোটেলেই বুকট। সে হিসেবে সরকারের নির্দশনা মেনে ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখার কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না। কারণ পর্যটকদের বেশি চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে লোক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ দাবি করছেন ,স্বাস্হ্যবিধি মেনেই পর্যটকরা থাকছেন। হোটেল মোটেলগুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত মনিটর করছি। সাথে হোটেল এসোসিয়েশন ও টুরিস্ট পুলিশ সহযোগিতা করছেন। যাতে সরকারের নির্দশনা মোতাবেক আবাসন খালি এবং স্বাস্হ্যবিধি যথাযথ ভাবে মানা হয়।
৩ বছর আগে
আগামীকাল থেকে খুলছে পর্যটন কেন্দ্র
করোনা বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে খুলছে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটন স্পট সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন কেন্দ্র খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে মাস্ক পরিধান ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না এবং পর্যটকদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ শর্তসাপেক্ষে খুলেছে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল, বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্র
এখানকার হোটেল-মোটেল, রেস্তোরা, সরকারি-বেসরকারি পর্যটন স্পটগুলোর সাথে জড়িত মানুষদের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। পর্যটকদের বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাঙ্গামাটির হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটকদের আগমন ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরাও।
যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দূর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড় হ্রদ ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভুমি রাঙ্গামাটিতে। কিন্তু টানা দীর্ঘদিন পর্যটক শূণ্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় পর্যটন ব্যবসায়। রাঙ্গামাটি চেম্বারের হিসাবে, জেলায় পর্যটনের পাঁচটি খাতে দিনে গড়ে অন্তত সোয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা দেশের পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
রাঙ্গামাটিতে ঝুলন্ত ব্রিজ, পলওয়েল পার্ক, রাঙ্গামাটি শিশু পার্ক, হ্যাপি আইল্যান্ড, সুবলং ঝর্ণা, পেদা টিং টিং, ইকো ভিলেজ, বন বিহার, রাজবাড়ি, আরণ্যক, বড়গাঙসহ নানা বিনোদন স্পটগুলোতে সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
কাপ্তাই লেকের বোট মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, দীর্ঘদিন পর্যটন ব্যবসা বন্ধ ছিল। আমাদের বোটের চালকরা এতদিন বেকার ছিল। তবে তাদের নিয়মিত বেতন দিতে হয়েছে। সরকার দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার কারণে আমরা এই বেকার সময়ে বোটের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতে রং ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যাান্ত্রিক কাজ সেরে রেখেছি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ূয়া জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছি। দীর্ঘদিন পর কর্মচারীরা মনের খুশিতে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী আমাদের লক্ষ মাত্রা পূরণ করতে পারবো।
আরও পড়ুনঃ পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ১৯ আগস্ট জেলার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। পর্যটকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে যাবেন। এটা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আর পর্যটকদের নির্বিঘ্নে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। তাই পর্যটকেরা প্রথমেই ছুটে যান পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায়। বছরে প্রায় দুই লাখ দেশি ও বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে এখানে। এছাড়া শহরের পুলিশের ‘পলওয়েলপার্ক’, ডিসির ‘রাঙ্গামাটি পার্ক’ সেনাবাহিনীর ‘আরণ্যক’, সুভলং ঝর্ণা, সুখীনীলগঞ্জ ও রাজবন বিহার এলাকায় প্রতিনিয়ত ভিড় জমান বেড়াতে আসা পর্যটকরা। এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের আকর্ষণীয় ‘সাজেক ভ্যালি’ তে পর্যটকদের বেশী সমাগম হয়।
৩ বছর আগে
শর্তসাপেক্ষে খুলেছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্র
সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেকে খুলেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রুম বুকিং দেয়া যাবে না। তবে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
এর আগে সারাদেশের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে এ বছরের ১ এপ্রিল কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটন এলাকার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো খোলে দেয়ার এ কথা জানায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩ ফসলি জমি ভরাট, বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ড মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের দাবির প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে একটি মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা বেঁধে দিয়েছে। দিকনির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে কোন ব্যত্যয় ঘটলে মনিটরিং কমিটি আবারও বন্ধ করে দেবে হোটেল মোটেল।’
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সব বিচার বিশ্লেষণ করে সীমিত পরিসরে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হয়েছে। খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। রক্ষা করতে হবে প্রতিশ্রুতি। ব্যবসা করতে হবে নিজের ও অন্যের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত: জাতিসংঘ
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গৃহীত শর্তগুলো হলো-বেড়ানোর উদ্দেশে কোন পর্যটক রুম বুকিং নিতে পারবে না। মাত্র ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দেয়া যাবে। রুম সার্ভিস ব্যতীত বন্ধ থাকবে রেস্টুরেন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সুইমিংপুল। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্র পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সকল কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পুরো হোটেলে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। শর্ত ভাঙলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
ফরিদপুরের সদরপুরে অবস্থিত বাইশরশি জমিদার বাড়ি প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ফরিদপুরের তরুণ সমাজ।
৩ বছর আগে
পাঁচ মাস পর ৬ শর্তে খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র
টানা প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ৬ শর্তে শুক্রবার থেকে খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র।
৪ বছর আগে
খুলছে ‘সাজেক ভ্যালি’
করোনার কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার বাংলার দার্জিলিং খ্যাত নয়নাভিরাম ‘সাজেক ভ্যালি’ ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে।
৪ বছর আগে
করোনায় সুন্দরবন পর্যটন শিল্পে ধস
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে চাইলে সুন্দরবন ভ্রমণ হতে পারে অন্যতম ভালো গন্তব্য।
৪ বছর আগে