বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মহাসড়কে পুলিশি বাধা টপকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার শত শত মানুষ বিভিন্ন কৌশলে পায়ে হেঁটে জড়ো হন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে।
তবে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন তারা। কেউ কেউ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটের অদূরে ট্রলার কিংবা ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে নদী পাড়ি দেন। আবার অনেক যাত্রীকে ঘাট থেকে বাসে করে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে দেখা গেছে পুলিশকে।
ঘাটে আসা যাত্রীরা জানান, ঈদের মধ্যে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সবই বন্ধ রয়েছে। তাদের কর্মস্থলগুলো বন্ধ। আয়-উপার্জন নেই। ঢাকায় বসে থেকে তারা কী করবেন? বাধ্য হয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন তারা।
মহাসড়কের বহু স্থানে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, বিভিন্ন কৌশলে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ফেরিঘাটে পৌঁছেছেন তারা। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের।
অনেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটের অদূরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেন। আবার কেউ কেউ ফেরির অপেক্ষায় বসে থাকেন।
তবে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের থাকতে দেয়নি পুলিশ। মাইকিং করে ঘাট ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। কোনোভাবেই যেন ঢাকা থেকে আসা এসব যাত্রী নদীর পার না হতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা। ঘাটে আসা যাত্রীদের বিনা ভাড়ায় বাসে করে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করে পুলিশ প্রশাসন।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মোট ১০টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, মানিকগঞ্জের প্রবেশদ্বার গোলড়া এলাকায় সব ধরনের যানবাহনে তল্লাশি করে শুধু পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি সরকারি যানবাহন, রোগীবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেয়া হচ্ছে। অন্য সব ধরনের যানবাহনকে ঘুরিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এরপরও বিভিন্ন কৌশলে মানুষজন শাখা রাস্তা, কিংবা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এসব মানুষদের ফেরি পার না করে উল্টোপথে বাস ভাড়া করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২০টির মতো গাড়িতে করে কয়েক শ যাত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
‘আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রলার কিংবা নৌকা চলাচলকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।