পাটুরিয়া
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সতর্কতার সঙ্গে চলছে ফেরি
ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্ব) সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকালে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এখন সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে ফেরি।
খুব প্রয়োজন ছাড়া সহজে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যারাও বের হচ্ছেন তাদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায়। মাঝেমধ্যে এক-দুইটি যান চলাচল করলেও যাত্রী তেমন নেই।
লঞ্চ বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুনে বসে চালক, সারেং, ইনচার্জরা অলস সময় পার করছেন। এছাড়া পন্টুনে বাঁধা চার থেকে পাঁচটি লঞ্চ।
এদিকে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে রাখা হয়েছে আরও কয়েকটি লঞ্চ।
পন্টুনে বসে থাকা এমভি আমানত লঞ্চের মাস্টার নাসির উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে শনিবার বেলা ১১টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘাটে লঞ্চ রেখে এই আবহাওয়ায় কোথাও যেতে পারছেন না কেউ। তাই পন্টুনে বসেই সময় পার করতে হচ্ছে।
এছাড়া নদী পাড়ি দিতে কোনো যাত্রী এলে তাদের ফেরিতে নদীপথ পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ
১ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ৭টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নদী পার করতে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও জানান, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও করবি নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
৯ মাস আগে
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিগাট এলাকায় একটি ফেরি ডুবে গেছে। ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় যাচ্ছিল। এতে ৭টি পিকআপ ও ২টি ট্রাক ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানসহ রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি নদীতে ডুবে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট কাজ করছে। সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেরিটি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির উপরে ভাসমান অবস্থায় ছিল।
ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
ফেরিডুবির কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
মোবাইলে কথা বলার সময় ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধ
৯ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ৪টি ফেরি।
এছাড়া, পাটুরিয়ায় ৮টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ২টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পারাপারের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত ৩টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় লঞ্চে কার্গো জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ ১
তিনি আরও বলেন, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে হামিদুর রহমান, বনলতা, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও হাসনা হেনা নামে ৪টি ফেরি। এছাড়া আরও ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছে অর্ধ শত যাত্রীবাহী বাস ও ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
৯ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কুয়াশা কমতে শুরু করায় ফেরি চলাচল আবারও শুরু হয়।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ৩টি ফেরি। এছাড়া, ২ ঘাটে আরো ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নদী পারাপারের যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মহি উদ্দিন রাসেল জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ৯টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহপরান, কেরামত আলী ও বনলতা নামে তিনটি ফেরির। এছাড়া আরো ১১টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়। তবে কুয়াশা কমতে থাকায় আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছিল অর্ধশত যাত্রীবাহী বাসসহ ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা আছে ফেরি বনলতা। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৭টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ৪টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
পদ্মার উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে ফেরির সার্চ লাইটেও নৌপথ দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় মাঝ নদীতে বনলতা নামে একটি ছোট ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে।
ঘন কুয়াশা কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে যানবাহনবোঝাই ৪টি ফেরি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল শুরু হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের কিছুই দেখা না যাওয়া নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
আরও জানা যায়, দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১টা থেকে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, গোলাম মাওলা, ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতাসহ ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে। ফেরি ৪টিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর পর্যন্ত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
১০ মাস আগে
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে উপচেপড়া ভিড় নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের সঙ্গে সীমিত আকারে মোটরসাইকেলও পার করা হচ্ছে। বিড়ম্বনা ছাড়া ফেরিতে পার হতে পারায় স্বস্তি পাচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়া লঞ্চ কতৃপক্ষ ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী যেন লঞ্চে না ওঠে সেই চেষ্টা করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ শুরু হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলো অনায়াসেই ফেরিতে উঠতে পরাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
তিনি বলেন,অন্য ঈদের সময় তিনদিন আগে থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হলেও এবার গাড়ির চাপ কম থাকায় পন্যবাহী ট্রাকগুলো পারা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে বাস ও পরে ট্রাক পার করছি। ঘাটে সকাল থেকে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের সামান্য লাইন রয়েছে।
বর্তমানে ২১ টি ফেরির মধ্যে ২০টি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে ।
সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় সাত হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬০০টি মোটরসাইকেল বলে জানান এই বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, ঘাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ছিনতাইরোধে ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে।
২ বছর আগে
যমুনায় নিখোঁজের দুই দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর আশ হাবিব (৪৩) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় নদীতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পাটুরিয়া নৌ থানার পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
আহসান হাবিব ঢাকার আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় অবস্থিত নাসা গার্মেন্টস এর জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলা শহরের ফুলবাড়ি এলাকায়। তবে স্বপরিবারে তিনি ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: সালতা নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
জানা গেছে, গত শুক্রবার তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে স্ত্রী শামীমা নাসরিন ও একমাত্র শিশু সন্তান অহনকে (১০) নিয়ে জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে বেড়াতে যান।
বেলা তিনটার দিকে স্ত্রী ও ছেলেকে যমুনা নদীর তীরে বসিয়ে তিনি নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে তিনি নদীতে ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন হদিস পায়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরিরা শনিবার সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাফরগঞ্জ ও এর আশপাশে যমুনা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালান। কিন্তু হাবিবের সন্ধান পায়নি।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে জাফরগঞ্জ এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
আহসান হাবিবের স্ত্রীর বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিন আগে আহসান হাবিবের কয়েকজন সহকর্মী জাফরগঞ্জ এলাকায় বেড়াতে এসেছিলেন। তারা যমুনা নদীতে গোসল করা এবং ঘোরাঘুরির বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। ওই ছবি দেখে তিনি এই এলাকায় স্ত্রী, পুত্র নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
পাটুরিয়া নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্বজনদের দেয়া ছবি দেখে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত আহসান হাবিবের লাশের প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ বছর আগে
পাটুরিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ, বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ
ঈদ শেষে ঢাকামুখী অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে।
শনিবার ভোর থেকেই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা রাজবাড়ির দৌলতদিয়াঘাট হয়ে ফেরি ও লঞ্চে করে আসছেন পাটুরিয়ায়। ফেরিগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি ফেরিতে শত শত মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতেও আসছে যাত্রীরা।
তবে ফেরিঘাটে যাত্রীদের তেমন কোন ভোগান্তি নেই। ফেরি কিংবা লঞ্চ থেকে নেমে যাত্রীরা এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে লোকাল বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে যাচ্ছে। তবে বাসে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, তিনি দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থল আশুলিয়া যাচ্ছেন। কাটা লাইন সার্ভিসে করে ভোগান্তি ছাড়াই দৌলতদিয়াঘাটে আসেন। সেখান থেকে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়াঘাটে নামেন। এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আবারও কাটা লাইন সার্ভিসের বাসে চড়েন। কিন্তু বাসের নির্ধারিত ভাড়া ১০০ টাকা হলেও তাদের চার সিটের ভাড়া নেয়া হয়েছে ৮০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে দ্বিগুন ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
একইভাবে গার্মেন্টস কর্মী জাহানারা বেগম বলেন, ওপার থেকে লঞ্চে এপাড়ে এসে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। শুভযাত্রা পরিবহনের লোকাল বাসে সাভারের নবীনগরের ভাড়া রাখছেন ১৫০ টাকা। অথচ সব সময় ৮০ টাকায় নবীনগর যাতায়াত করেন।
তিনি বলেন, এভাবে প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে কাটা লাইন সার্ভিসের যাত্রীদের কাছ থেকে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ১নং ট্রাক টার্মিনালে কাটা লাইন সার্ভিসের বাসগুলো যাত্রীর অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। নবীনবরন, সেলফি পরিবহন, পদ্মা লাইন, যাত্রীসেবা, শুভযাত্রা, ভিলেজ লাইনসহ বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বহু বাস রয়েছে টার্মিনালে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বাসের সংকট না থাকলেও বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
এ ব্যাপারে পদ্মা লাইন সার্ভিসের এক বাস চালক জানান, ঢাকা থেকে ফিরতিপথে খালি গাড়ি নিয়ে আসতে হয় বিধায় ডাবল ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলেছে
২ বছর আগে