মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে শেরপুরে এবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভুহিহীন-গৃহহীন পরিবার।
আগামী রবিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ২ শতক জমিসহ ঘর, কবুলিয়ত, দলিল, নামজারি ও গৃহসনদ হস্তান্তর করা হবে। এ উপলক্ষ্যে পুরো ঝিনাইগাতীজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ‘ক’ শ্রেণির (জমি নাই, ঘর নাই) ৫২ হাজার ৯৪৫টি ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে শেরপুর জেলায় ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভূমিহীন-গৃহহীন। এর মধ্যে সদরে ৩০টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০, নকলায় ৪২, শ্রীবরদীতে ২০ ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২৫ ঘর রয়েছে।
হাফবিল্ডিং টিনশেড নির্মিত এসব ঘর প্রতিটি নির্মাণে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জেলায় মোট ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, টয়লেট ও পানি সরবরহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৫ কোটি ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৯১টি পরিবারের মাঝেও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে খুলনায় ঘর পাচ্ছেন আরও ১৩৫১ গৃহহীন
গৃহহীনদের একজন নিশা রানী হাজং বলেন, ‘বাপুরে, মেলা কষ্ট করে ঝুঁপড়ি টুপুড়ি বাইন্ধা পাহাড়ের ঢালুতে থাকতাম। হাতির ডড়ে (ভয়ে) ঘুমাইতে পারতাম না। মেলা জায়গায় ঘুরছি। কেউ থাহার জাগা (জায়গা) দেয় নাই। প্রধানমন্ত্রী ঘরও দিতাছে, জাগাও দিলো।’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের একজন মানুষকেও গৃহহীন রাখবেন না। এজন্য তিনি ভূমিহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
তিনি জানান, সরকারের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনও মানুষ যেন বাসগৃহ ছাড়া না থাকেন। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, গৃহকর্মীসহ প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করে তাদেরকেই জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে।