তারা হলেন- বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের শিক্ষক আবু ইউসুফ (৩৭), শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকার মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী সালেহা খাতুন (৪৯) ও শিবগঞ্জ উপজেলার বানাইল গ্রামের সাইদুর রহমান (৬৮)।
বগুড়া করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, মারা যাওয়া আবু ইউসুফ করোনা পরীক্ষার জন্য টিএমএসএস মেডিকেলে ৬ জুন নমুনা দেন। সেই নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সকাল সোয়া ১০টায় মোহাম্মদ আলীতে ভর্তি হন। পরে ১টার দিকে মারা যান।
অপরদিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাসায় ৫ দিন চিকিৎসা নেন সালেহা খাতুন। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাত পৌনে ১২টায় ভর্তি হন আইসোলেশন কেন্দ্রে। এ অবস্থায় দুপুর দেড়টায় মারা যান তিনি। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, বলেন তিনি।
ডা. কাজল আরও জানান, এ নিয়ে জেলায় উপসর্গ নিয়ে ১৩ এবং করোনায় আটজন মারা গেছেন।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার একদিনে বগুড়া জেলায় একজন চিকিৎসক, একজন পুলিশ সদস্য ও একজন শিশুসহ মোট ৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ১ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।