বগুড়ার শাজাহানপুরে স্ত্রী ও এক বছর বয়সী ছেলেশিশুকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সেনাসদস্য আজিজুল হককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের একটি রুম থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
সেনা সদস্য অভিযুক্ত আজিজুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। তিনি জেলার ধুনট উপজেলার কালের পাড়া ইউনিয়নের হেউট নগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে।
নিহতরা হলেন আশামনি (২০) ও আব্দুল্লাহ আল রাফি (১)।
শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, রবিবার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে হোটেল রুমের ভাড়া পরিশোধ করার সময় আজিজুল হকের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
পরে ওই রুম থেকে বস্তাবন্দী মাথাবিহীন রাফির লাশ ও বাথরুম থেকে আশা মনির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আশা মনির ভাই মেহেদি হাসান জানান, তার বোনের সঙ্গে আজিজুল হকের দাম্পত্য কলহ ছিল। কলহের জের ধরে তার বোন ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
আশা মনিকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার ভাই।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, আজিজুল হককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত আজিজুল হক শিশুটিকে হত্যার পর শরীর থেকে মাথা আলাদা করে করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে দাবি করে এ বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।