বরিশালে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের প্রধান জামাত নগরের বান্দ রোডস্থ হেমায়েত উদ্দীন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুরে্যাগ থেকে মুক্তি কামনা করেন অশ্রুসিক্ত মুসল্লিরা।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহেণে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন মুসুল্লীরা।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। সেইসঙ্গে দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুরে্যাগ ও সকল মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, এবারের ঈদ খুবই সুন্দরভাবে মানুষ পালন করছে। মানুষ সস্তিতে নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদের এ ছুটিতে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক-এমপি শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, দেশ বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এখানে আরও নামাজ আদায় করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাঈদুর রহমান রিন্টু, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মুসুল্লীরা।
এছাড়া নগরের দ্বিতীয় প্রধান জামাত হয় আমতলা মোড় এলাকার বরিশাল সদর মডেল মসজিদে। এখানে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে সকাল সাড়ে ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লীরা।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও নগরের এবং জেলার প্রায় সকল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।