তবে চাষিদের দাবি, জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া মৎস্য ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
আম্পান, বুলবুলের পরে সর্বশেষ অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে চাষিদের একের পর এক মৎস্য ঘের ডুবে মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে চিংড়ি শিল্প।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট জেলার মৎস্য ঘের এবং পুকুর ডুবে গিয়ে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ হাজার ২৭৪টি মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ওই সব ঘেরের আয়তন দুই হাজার ৬৭৯ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত চাষির সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। প্রথমিক হিসাবে ঘের ডুবে ১০ কোটি টাকা মূল্যের চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য ঘের ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ১৮৫টি মৎস্য ঘের ডুবে গেছে মোড়েলগঞ্জে। সেখানে এক হাজার ২৩০ হেক্টর আয়তনের মৎস্য ঘের ডুবে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মোংলায় এক হাজার ৭১ হেক্টর আয়তনের এক হাজার ৭৬৫টি ঘের ডুবে গেছে। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ কোটি ৫৬ হাজার টাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৬০টি পুকুর ডুবে গেছে।
বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ডুবে গেছে। ঘের ডুবে কোটি কোটি টাকা মূল্যের চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।