বঙ্গোপসাগর
বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু মুক্ত করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর পতেঙ্গাস্থ র্যাব-৭ এর সদর দপ্তর মাঠে ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
তিনি আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের উদ্দেশে বলেন, ‘দস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনো শান্তি ফিরিয়ে আনবে না।’
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন বঙ্গোপসাগর দাপিয়ে বেড়ানো অর্ধশত জলদস্যু।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করব না। যারা এই পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন।’
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার সদস্য আহত হয়েছেন, অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও রয়েছে। তারা কখনো অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়ে বাধ্য হয়ে এসব কাজে জড়িত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা তাদের এইসব কাজে জড়িত হতে বাধ্য করেন।’
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম তো আগের সেই চট্টগ্রাম নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। টানেল সেতু সব হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। যেসব জলদস্যু এখনো ফিরে আসেনি তাদের কাউকে আমরা ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৮টি বাহিনীর ৫০ জন জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, র্যাবের মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন, সিএমপি পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহাবুব আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, র্যাব-৭ এর পরিচালক মাহবুব আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ১০টি ঘূর্ণিঝড়
অনন্য ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঘন ঘন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। দেশের উপকূল স্পর্শ করে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ অনেকটা ফানেল-আকৃতির। ফলে স্থলভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো। আর এই বিভীষিকার নির্মম শিকারে পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই দুর্যোগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতাব্দির ইতিহাস। চলুন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ১০ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০টি সাইক্লোন
বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, ১৮৭৬
১৮৭৬ সালের ২৭ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ২৯ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। অতঃপর ৩০ অক্টোবর আরও প্রবল হয়ে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশপাশে সেসময় বাতাসের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার।
ওই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২ মিটার। আর এই মাত্রা অব্যাহত রেখেই ৩১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বরিশালের ব্যাকেরগঞ্জ উপজেলার ওপর। পাশাপাশি আঘাত হানে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিসহ ব্রিটিশ ভারতের উপকূল বরাবর, যেটি বর্তমানে বরিশালে মেঘনা নদীর মোহনার কাছাকাছি একটি স্থান।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সেবার হতাহতের সংখ্যা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ, যাদের অর্ধেকই মারা গিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসে। এ ছাড়াও ঘরবাড়িসহ সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ১ নভেম্বর থামে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর আরও অনেক মানুষ মারা যায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে।
আরও পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম সাইক্লোন, ১৮৯৭
কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মিলে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজারে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে কলেরা মহামারিতে আরও ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
খুলনার ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬১
১৯৬১ সালের ৯ মে সংঘটিত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বাগেরহাট ও খুলনার বেশকিছু অঞ্চল। ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার, আর জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের উচ্চতা পৌঁছেছিল ২ দশমিক ৪৪ থেকে ৩ দশমিক ০৫ মিটারে।
ঝড়ে ১১ হাজার ৪৬৮ জন নিহতের অধিকাংশই ছিল চর আলেকজান্ডারের অধিবাসী। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিশেষ করে নোয়াখালী ও হরিনারায়ণপুরের মধ্যকার রেলপথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপটি, বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির ঘূর্ণঝড়-সংক্রান্ত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর সর্তক দেখাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমান উত্তর-পশ্মিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্ক, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘুর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের’ প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সাতক্ষীরায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে লবণবাহী ৪ ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে ট্রলারে থাকা ৩০ জন মাঝি-মাল্লা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী এলাকা থেকে লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসার পথে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড় ও ঢেউ এ আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার।
এসময় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় উল্টে সাগরে ডুবে যায় লবণবাহী ট্রলার ও মাঝি মাল্লাররা। পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। চারটি ট্রলার ৩০ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মাঝি মাল্লাররা সুস্থ রয়েছে।
বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। কূলের কাছাকাছি হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। সবাই কূলে উঠে গেছে। তবে ট্রলার ডুবে লবণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করে ১২ জনকে উদ্ধার করি।
পরে চারটি ট্রলারও চিহ্নিত করা হয়। এখন তীরে তোলার জন্য কাজ চলছে। এছাড়া কোস্টগার্ডও আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে আর নিখোঁজ কেউ নেই।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপকূলে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে অভিযানে ৩০ জলদস্যু গ্রেপ্তার : বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে দুর্ধর্ষ গণডাকাতির চেষ্টাকালে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বঙ্গোপসাগরে এই রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-৭ এর পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল) অভিযান চালিয়ে বড় ধরণের গণডাকাতির চেষ্টকালে জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর আটক ও বিপুল অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ জব্দ করেছে র্যাব। পরে তাদের পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। এ লক্ষ্যে দুপুরে ২টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা ১৫নং ফিশারি ঘাটে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি রিমান্ডে, গ্রেপ্তার আরও ১ আসামি
বঙ্গোপসাগরে ১৩ জেলে নিয়ে নিখোঁজ মাছ ধরার ট্রলার
চট্টগ্রামের আনোয়ারার সরেঙ্গা ঘাট থেকে ১৩ জেলে নিয়ে ‘মা জননী’ নামে একটি মাচ ধরার ট্রলার গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে আনোয়ারার উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সরেঙ্গা ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য রওনা দেয় ট্রলারটি।
ট্রলার এর মালিক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ট্রলার রওনা দেওয়ার সময় প্রায় দুই সপ্তাহের মতো খাবার দেওয়া হয়। বুধবার রাতে রওনা দেওয়ার পর শুক্রবার তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
তারা তখন জানিয়েছিলেন, ট্রলারের ইঞ্জিনের সমস্যা হয়েছে ট্রলার চলছে না। তারা এখন পানিতে ভাসছে। তখন তারা সেন্টমার্টিনের বাইরে ও টেকনাফের কাছাকাছি ৩০ ভিউ পানিতে (জেলেদের নিজস্ব ভাষা) নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থান করছিলেন।
পরে তখনই তাদের উদ্দেশে আমরা আরেকটি ট্রলার পাঠাই। ট্রলারটি তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো খোঁজ পায়নি। বিষয়টি আমরা নৌপুলিশকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
এ বিষয়ে নৌপুলিশের কর্তব্যরত মো. ফারুক জানান, বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। তবে আমরা গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনের ডিউটিতে রয়েছি। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে কেউ খবর পেলে আমাদের জানায়।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন দিনের প্রথমার্ধে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’: জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি: বিএমডি
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী একটি নিম্নচাপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
এতে বলা হয়, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
এটি আরও তীব্র হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
দুবলার রাস উৎসব শুরু শনিবার
বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শনিবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাগর পাড়ে শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসবকে ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তবে শুধু সনাতন ধর্মালম্বীরা অংশ নিতে পারবেন রাসপূজা ও পুণ্যস্নানে। রাস উৎসবকে ঘিরে শনিবার থেকে সোমবার তিন দিন সুন্দরবনে পূণ্যার্থী ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করেছে বন বিভাগ।
পূণ্যার্থীরা নির্ধারিত পাঁচটি রুট দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে আবার একই রুট দিয়ে ফিরে আসবেন। সব পূণ্যার্থীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের দুবলার চরে রবিবার থেকে রাস উৎসব শুরু
এদিকে রাস ঘিরে জেলা, পুলিশ প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের বেশ কয়েকটি টিম বৃহস্পতিবার থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল শুরু করেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সরকার নির্ধারিত রাজস্ব জমা দেওয়ার পর বন বিভাগ থেকে পাস (অনুমতি) নিয়ে নির্ধারিত পাঁচটি রুট দিয়ে পূণ্যার্থীরা রাস উৎসবে যেতে পারবেন এবং একই রুট দিয়ে তাদের ফিরতে হবে।
তিনি আরও জানান, পূণ্যার্থীরা শনিবার দুবলার চরে পৌঁছাবে, রবিবার সন্ধ্যায় রাসপূজা এবং সোমবার ভোরে পুণ্যস্নান শেষে আবার ফিরে আসবেন।
তিনি জানান, এই তিন দিন সুন্দরবনে পূণ্যার্থীছাড়া অন্য সব ধরনের প্রবেশের অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১৬টি টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
এ ছাড়া বন বিভাগ রাস উৎসবকে ঘিরে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুবলারচরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের রাস উৎসব
যে পাঁচটি রুট দিয়ে পূণ্যার্থীরা রাস উৎসবের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন সেগুলো হলো-
১) ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন-ত্রিকোনা আইল্যান্ড হয়ে দুবলার চর।
২) বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর হয়ে দুবলার চর।
৩) বুড়িগোয়ালিন, কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদীর পর দুবলার চর।
৪) কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা এরপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর।
৫) নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, শনিবার সকালের ভাটায় পূণ্যার্থীরা সুন্দরবন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে নির্ধারিত রুট দিয়ে লঞ্চ ও ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন। রবিবার সন্ধ্যায় পূজা-অর্চনা শেষে সোমবার ভোরে সাগরের লোনা জলে পুণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের রাস উৎসব। ওই দিন সন্ধ্যার মধ্যে পূণ্যার্থীরা ফিরে আসবেন। কোনো অবস্থাতেই কোনো পূণ্যার্থী আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
বন বিভাগের তথ্য মতে, সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি পুণ্যর্থীদের তিন দিনের জন্য ৭৫ টাকা, নিবন্ধনযুক্ত প্রতিটি ট্রলারের (তিন দিন) জন্য ৩০০ টাকা, নিবন্ধনবিহীন প্রতিটি ট্রলারের (তিন দিন) জন্য ১ হাজার টাকা এবং প্রতিটি ট্রলারের অবস্থান ফি (প্রতিদিন) বাবদ সরকারকে ৩০০ টাকা রাজস্ব দিতে হবে।
দুবলার চরে রাস উৎসব আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে সেখানে রাসপূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকালের ভাটায় পূণ্যার্থীরা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা নিয়ে দুবলার চরে রওনা হবে। লোকালয় থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে দুবলার চরে বিকালের মধ্যে তারা পৌঁছে যাবে। ১০ হাজার পূণ্যার্থী রওনা হবে রাসে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু