বঙ্গোপসাগর
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’তে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে
২২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা; দেশজুড়ে হতে পারে বৃষ্টি
এতে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের অবনতি
১ সপ্তাহ আগে
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা; দেশজুড়ে হতে পারে বৃষ্টি
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা
১ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
কক্সবাজারে শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন জেলে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি সাগরে ২৪ জেলেসহ এফবি রশিদা নামের ট্রলারটি ডুবে গেলে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলের নাম জামাল বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী।
আরও পড়ুন: মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
তিনি জানান, ঝরের কবলে পড়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি আমরা দেখতে পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারের মধ্যে একজন গুরুতর আহত জামালকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আহত জেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, ঐ ট্রলারে ২৩জন জেলে ছিল। মূলত তারা ঝরের কবলে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, ঝড় ও বাতাসের কবলে পড়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটি সাগরের কূলে আছে। এই ঘটনায় ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন। আহত জেলেরা বলছে কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। আহত জেলেরা সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
১ মাস আগে
বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু মুক্ত করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর পতেঙ্গাস্থ র্যাব-৭ এর সদর দপ্তর মাঠে ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
তিনি আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের উদ্দেশে বলেন, ‘দস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনো শান্তি ফিরিয়ে আনবে না।’
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন বঙ্গোপসাগর দাপিয়ে বেড়ানো অর্ধশত জলদস্যু।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করব না। যারা এই পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন।’
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার সদস্য আহত হয়েছেন, অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও রয়েছে। তারা কখনো অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়ে বাধ্য হয়ে এসব কাজে জড়িত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা তাদের এইসব কাজে জড়িত হতে বাধ্য করেন।’
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম তো আগের সেই চট্টগ্রাম নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। টানেল সেতু সব হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। যেসব জলদস্যু এখনো ফিরে আসেনি তাদের কাউকে আমরা ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৮টি বাহিনীর ৫০ জন জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, র্যাবের মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন, সিএমপি পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহাবুব আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, র্যাব-৭ এর পরিচালক মাহবুব আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
৪ মাস আগে
বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ১০টি ঘূর্ণিঝড়
অনন্য ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঘন ঘন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। দেশের উপকূল স্পর্শ করে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ অনেকটা ফানেল-আকৃতির। ফলে স্থলভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো। আর এই বিভীষিকার নির্মম শিকারে পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই দুর্যোগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতাব্দির ইতিহাস। চলুন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ১০ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০টি সাইক্লোন
বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, ১৮৭৬
১৮৭৬ সালের ২৭ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ২৯ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। অতঃপর ৩০ অক্টোবর আরও প্রবল হয়ে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশপাশে সেসময় বাতাসের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার।
ওই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২ মিটার। আর এই মাত্রা অব্যাহত রেখেই ৩১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বরিশালের ব্যাকেরগঞ্জ উপজেলার ওপর। পাশাপাশি আঘাত হানে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিসহ ব্রিটিশ ভারতের উপকূল বরাবর, যেটি বর্তমানে বরিশালে মেঘনা নদীর মোহনার কাছাকাছি একটি স্থান।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সেবার হতাহতের সংখ্যা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ, যাদের অর্ধেকই মারা গিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসে। এ ছাড়াও ঘরবাড়িসহ সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ১ নভেম্বর থামে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর আরও অনেক মানুষ মারা যায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে।
আরও পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম সাইক্লোন, ১৮৯৭
কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মিলে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজারে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে কলেরা মহামারিতে আরও ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
খুলনার ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬১
১৯৬১ সালের ৯ মে সংঘটিত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বাগেরহাট ও খুলনার বেশকিছু অঞ্চল। ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার, আর জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের উচ্চতা পৌঁছেছিল ২ দশমিক ৪৪ থেকে ৩ দশমিক ০৫ মিটারে।
ঝড়ে ১১ হাজার ৪৬৮ জন নিহতের অধিকাংশই ছিল চর আলেকজান্ডারের অধিবাসী। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিশেষ করে নোয়াখালী ও হরিনারায়ণপুরের মধ্যকার রেলপথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপটি, বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির ঘূর্ণঝড়-সংক্রান্ত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর সর্তক দেখাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমান উত্তর-পশ্মিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্ক, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘুর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের’ প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সাতক্ষীরায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া
৪ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে লবণবাহী ৪ ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে ট্রলারে থাকা ৩০ জন মাঝি-মাল্লা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী এলাকা থেকে লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসার পথে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড় ও ঢেউ এ আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার।
এসময় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় উল্টে সাগরে ডুবে যায় লবণবাহী ট্রলার ও মাঝি মাল্লাররা। পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। চারটি ট্রলার ৩০ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মাঝি মাল্লাররা সুস্থ রয়েছে।
বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। কূলের কাছাকাছি হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। সবাই কূলে উঠে গেছে। তবে ট্রলার ডুবে লবণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করে ১২ জনকে উদ্ধার করি।
পরে চারটি ট্রলারও চিহ্নিত করা হয়। এখন তীরে তোলার জন্য কাজ চলছে। এছাড়া কোস্টগার্ডও আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে আর নিখোঁজ কেউ নেই।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপকূলে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৫ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে অভিযানে ৩০ জলদস্যু গ্রেপ্তার : বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে দুর্ধর্ষ গণডাকাতির চেষ্টাকালে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বঙ্গোপসাগরে এই রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-৭ এর পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল) অভিযান চালিয়ে বড় ধরণের গণডাকাতির চেষ্টকালে জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর আটক ও বিপুল অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ জব্দ করেছে র্যাব। পরে তাদের পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। এ লক্ষ্যে দুপুরে ২টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা ১৫নং ফিশারি ঘাটে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি রিমান্ডে, গ্রেপ্তার আরও ১ আসামি
৮ মাস আগে