চিংড়ি
চাঁদপুরে জেলিযুক্ত ৯ মণ চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেস বাজার এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩৬০ কেজি (৯ মণ) জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান পরিচালনায় এসব চিংড়ি জব্দ করা হয়।
পরে এসব চিংড়ি মাটিচাপা দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, শহরের ওয়ারলেস বাজারে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৩৬০ কেজি (৯ মণ) জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। তবে এসময় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে এসব চিংড়ি কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে এনে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলামসহ কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২.২২৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ, ২ যাত্রী আটক
৯ মাস আগে
চাঁদপুরে ৪৫০০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪ হাজার ৫০০ কেজি বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
এর আগে গোপনে খবর পেয়ে, শনিবার (২৬ আগস্ট) দিনগত গভীররাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্য ও চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ হরিণা ফেরিঘাটে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এসব চিংড়ি জব্দ করেন।
কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন, চাঁদপুর কর্তৃক জেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সাতক্ষীরা থেকে চট্রগ্রামগামী দুইটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে আনুমানিক ৪ হাজার ৫০০ কেজি বিষাক্ত জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ করা হয়। এগুলো এভাবে গোপনে পাচার হচ্ছিল।
এ সময় জেলি পুশকৃত চিংড়ির প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে উপস্থিতি ছিলেন চাঁদপুর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
পরবর্তীতে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত জেলি পুশকৃত চিংড়ি কোস্টগার্ড অফিস চত্বরের মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: কোস্টগার্ডের অভিযানে ১০ হাজার কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরে ১ হাজার কেজি বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
১ বছর আগে
চাঁদপুরে পাচারকালে ৩ লাখ চিংড়ি রেণু পোনা জব্দ
চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে ধরা অনেকগুলো ড্রামে রক্ষিত প্রায় তিন লাখ চিংড়ি রেণু পোনা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে জব্দকৃত চিংড়ি পোনা ডাকাতিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
শুক্রবার (৫ মে) কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১০২০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ঢাকা জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক লেফটেন্যান্ট মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে শুক্রবার ভোর রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক লেফটেন্যান্ট মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ানের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ও আলু বাজার ফেরিঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযানে চাঁদপুর মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে চিংড়ি রেণু পোনা ধরে খুলনায় পাচার করার সময় আনুমানিক তিন লাখ চিংড়ির রেণু পোনার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জব্দকৃত চিংড়ি রেণু পোনার প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড চাঁদপুর।
এদিকে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে ডাকাতিয়া নদীতে জব্দকৃত চিংড়ির রেণু পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মো. মিজানুর রহমান জানান, রেণু পোনা যে কোন সময় ধরা অবৈধ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান সব সময় চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘেরে চিংড়ি মারা যাওয়ায় হতাশ খুলনার চাষীরা
অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিল সরকার
১ বছর আগে
অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিল সরকার
অবশেষে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত বুধবার (২৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভেনামি চিংড়ির চাষের অনুমতি দিয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
একই সঙ্গে ভেনামি চিংড়ির চাষের জন্য ‘বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চিংড়ি চাষ নির্দেশিকা’ও অনুমতি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়ায় খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকরা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ চিংড়ি চাষীরা।
এখন বিশ্বের ৬২টি দেশে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়ার দেশ রয়েছে ১৫টি। বিশ্বে চিংড়ি বাণিজ্যের ৭৭ শতাংশ দখল করে আছে ভেনামি চিংড়ি।
বাগদা চিংড়ির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি চান রপ্তানিকারকরা
এশিয়ার চিংড়ি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে এতদিন বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ছিল।
এর আগে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে খুলনার পাইকগাছায় ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু হয়।
এছাড়া প্রতিবারই সফলতা পাওয়া গিয়েছিলো।
ভেনামি কি?
ভেনামি চিংড়ির জাতটি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ ২০০৮ সালে শুরু হয়। এছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ যেমন: থাইল্যান্ড ও চীনে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় ১৯৮৮ সালে; ফিলিপাইনে এর চাষ শুরু হয়েছে ১৯৮৭ সালে এবং ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে শুরু হয় ২০০০ সালে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যালায়েন্স-এর তথ্যমতে, বিশ্বে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ৩৫ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, বাগদা উৎপাদন হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, গলদা উৎপাদন হয়েছে দুই দশমিক চার লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া অন্যান্য চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে তিন লাখ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে এশিয়ার চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয় ২৩ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৯ সালে এই দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ১২ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান শূন্য।
আরও পড়ুন: ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
১ বছর আগে
চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১০২০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অস্বাস্থ্যকর জেলি পুশ করা এক হাজার ২০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
মঙ্গলবার সকালে আলুবাজার ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চিংড়িগুলো উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
কোস্ট গার্ডের ঢাকা জোনের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ ত্বকি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলুবাজার ফেরি ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রলার থেকে প্রায় এক হাজার ২০ কেজি ওজনের চিংড়ি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত জেলি পুশ করা চিংড়িগুলো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় জেলি মেশানো ৪৩০ কেজি চিংড়ি জব্দ, ৯ জনের কারাদণ্ড
ওজন বাড়ানো ও সতেজ রাখতে চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি!
যশোরে সিলিকন জেলযুক্ত ২ মেট্রিক টন চিংড়ি উদ্ধার
১ বছর আগে
প্রাকৃতিক দুর্যোগে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছরই বিপর্যয় ঘটছে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি চাষে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অতিরিক্ত খরা আর ভাইরাসে উজাড় হচ্ছে চিংড়ি ঘের। এতে করে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে বাগেরহাটে চাষিরা। এ অবস্থায় ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিচ্ছে মৎস্য বিভাগ
ক্লাস্টার হলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত খামার সমষ্টি যা সাধারণত একই অঞ্চল ও পরিবেশে খুব কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত হয়। ক্লাস্টার পদ্ধতিতে খামারগুলোর মধ্যে বৈশিষ্ট্য থাকা অপরিহার্য। যেমন: একই ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ বা অবকাঠামোর ব্যবহার, (যেমন- পানির উৎস, বর্জ্য নির্গমন ব্যবস্থা ইত্যাদি) একই বা কাছাকাছি চিংড়ি চাষ পদ্ধতির অনুসরণ, একই প্রজাতির মাছ বা চিংড়ি চাষ বা মিশ্রচাষ করা, উদ্যোগী সংশ্লিষ্ট দল হতে হবে।
চিংড়ি ক্লাস্টার এমন একটি সংগঠন যা একটি নির্দিষ্ট এলাকার চিংড়ি চাষিদের নিয়ে গঠিত হয় এবং সদস্যরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমন্বিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, সম্প্রতি বৃষ্টি এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে জেলায় আট হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ছয় কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত চাষির সংখ্যা সাত হাজার। জেলায় ৬৯ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে ৭৭ হাজার ৬৫৭টি মৎস্য ঘের রয়েছে। জেলায় মোট মৎস্য চাষির সংখ্যা ৬২ হাজার।
২ বছর আগে
বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
সাতক্ষীরায় খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মাছের ঘের ও কাঁকড়া খামার। বাঁধ ভাঙার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাঁধ মেরামত করা যায়নি। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে এক হাজার ৬৫৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাঁকড়া খামার। এর মধ্যে পুকুর রয়েছে ১০০টি। চিংড়ি, কাঁকড়া, সাদা মাছ, মাছের পোনাসহ আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আট কোটি ২৮ লাখ টাকার।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত সম্পন্ন হলে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রণোদনার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: বাগেরহাট হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দক্ষিণের জেলা বাগেরহাটের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জেলার সামগ্রিক অর্থনীতি কৃষি, মৎস্য, পর্যটন এবং মোলা বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। পদ্মা সেতু চালু হলে বাগেরহাটে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে, কৃষি ও মৎস্য, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। আর সবজিসহ বাগেরহাটের চিংড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে সহজ হবে।
এই অঞ্চলে এরই মধ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি এবং বড় ধরণের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণের আভাস মিলেছে। হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থান পাবেন এখানে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সেই সাথে মানুষের ভাগ্যোর আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
ইতিহাস-ঐতিহ্য আর পুরাকৃত্তির জেলা বাগেরহাট। ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, দেশের দ্বিতীয় সমুন্দ্র বন্দর মোংলার অবস্থান এই জেলায়। পদ্মা সেতু নিয়ে উপকূলের এই জেলার মানুষ নতুন নতুন স্বপ্ন বুনছেন। কলা ও সবিজ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবপর্যায়ের ব্যসায়ীদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে এমন আশায় বুক বেঁধেছেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বিভাগ, কৃষি,মৎস্য বিভাগ ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন পদ্মা সেতু চালু হলে এই অঞ্চল অর্থনীতির টানিং পয়েন্ট হবে। মোংলা বন্দরের কয়েক গুণ রাজস্ব আয় বাড়বে। একই সঙ্গে বাগেরহাটে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়বে। সেই সঙ্গে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। বাগেরহাটসহ এই অঞ্চলে মিল-কল-কারখানা তৈরি হলে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন জানান, পদ্ম সেতু চালু হলে কৃষকরা মধ্যসত্ত্বভোগী ছাড়াই তাদের উৎপাদন করা কৃষিপণ্য সরাসরি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। সেই সঙ্গে বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক প্রবিদ্ধির হার এক দশমকি ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতির দার উন্মোচন করবে। এই অঞ্চলে বড় ধরনের কর্মযোগ্য হবে। মোংলা বন্দর, ইপিজেড, বিশ্বঐতিহ্যর অংশ সুন্দরবন এবং ষাটগম্বুজ মসজিদকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এরই মধ্যে পর্যাটন ভিত্তিক ৫০ জন গাইডকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, ঢাকা থেকে যে কোনো বন্দরের চেয়ে এখন মোংলা বন্দর কাছে। পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা বন্দরের অগ্রগতি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মোংলা বন্দর থেকে শুরু হবে। সহজ যোগযোগ ব্যবস্থার কারণে বন্দর ব্যবহারকারীরা মোংলা বন্দরের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভুক্তভোগী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে পুলিশের সাইবার টিম
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে বাগেরহাটে কৃষিক্ষেত্রে বিল্পব ঘটবে এবং কৃষিভিত্তিক প্রসেসিং জোন গড়ে উঠবে। কৃষি উদ্যাক্তা তৈরি হবে এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। বিভিন্ন সময়ে পদ্মা পাড়ি দিতে ফেরিঘাটে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কৃষক নিজেই তার কৃষিপণ্য ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে দিনে দিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমানের তথ্য মতে, জেলায় বর্তমানে বছরে দুই লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়। যার ৭২ হাজার মেট্রিক টন জেলার বাইরে বিক্রি হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে এক লাখ মেট্রিক টন জেলার বাইরে বিক্রি হবে। কৃষি পণ্য উৎপাদনে আরও বেশি আগ্রহী হবেন।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে এই অঞ্চলে মাছ প্রসেসিং কারখানা তৈরি হবে। চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ নষ্ট এবং অপচয় কম হবে। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে বাগেরহাটের চিংড়ি টেকনাফ থেকে তেতুলিয় সর্বত্রই হাট-বাজারে বিক্রি হবে। চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে মুনাফা বাড়বে। আর চিংড়ি চাষিরা লাভবান হবেন। মুনাফা পেলে চিংড়ি চাষিরা চিংড়ি চাষের আয়াতন বাড়াবে।
তিনি জানান, গত বছর বাগেরহাটে চিংড়ি, সাদা মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। এই বছরে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৯৭ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামীতে উৎপাদন এক লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। গত অর্থ বছরে চিংড়ি রপ্তানি করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে আগামীতে ১০০ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
বাগেরহাট ষাটগম্বুজ যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন এবং ষাটগম্বুজ মসজিদ দর্শনে দেশ-বিদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়া বেড়ে যাবে। পর্যটকরা বাগেরহাটে এসে বিভিন্ন পর্যটন স্পর্ট দেখে দিনে দিনে আবার ফিরে যেতে পারবেন। গত বছর পাঁচ লাখ পর্যটক ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে আসেন। ওই বছর পর্যটকদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে পর্যটক আসা-যাওয়া বাড়বে এবং সেই সঙ্গে রাজস্ব বাড়বে।
আরও পড়ুন: নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
বাগেরহাট চেম্বর অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন জানান, পদ্মা সেতুর কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে শিল্প কল-কারখানা তৈরি করতে কৃষি জমি ক্রয় করছে। ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলের বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দুরত্ব অন্য বন্দরের চেয়ে কম হওয়ার কারণে বন্দর ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মন্টু জানান, তারা ইতোমধ্যে বাগেরহাট-ঢাকা রুটে বিলাসবহুল বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৫ জুন) সেতুটি উদ্বোধন করবেন। ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে কয়েক লাখ মানুষ পদ্মার তীরে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২ বছর আগে
যশোরে সিলিকন জেলযুক্ত ২ মেট্রিক টন চিংড়ি উদ্ধার
যশোরে দুই মেট্রিক টন সিলিকন জেলযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাহাদুরপুরে অভিযান চালিয়ে চিংড়িভর্তি তিনটি ট্রাক জব্দ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে খুলনার মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে চিংড়ি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চোখের সামনে চিংড়ির দেহ থেকে জেল বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, জীবনে প্রথম এমন দৃশ্য দেখলাম। এভাবে আমাদেরকে বিষ খাওয়ানো হচ্ছে। সরকারের উচিত এমন জঘন্য কাজ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মানুষের জীবনের আর কোনো মূল্য নেই। এইসব ভেজাল খেয়েই আমরা অসুস্থ হয়ে পরছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ এতকিছু বুঝিনা, আমরা ভেজালমুক্ত দেশ চাই। আর সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবী,যারা এভাবে মানুষকে ঠকিয়ে রাতারাতি বড়লোক হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ১০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ আটক ১
২ বছর আগে
চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করতে বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘চিংড়ির হ্যাচারির সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে, কারণ বাংলাদেশ সরকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য সরকার কক্সবাজারকে বেছে নিয়েছে। শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম থেকে প্রধান খাদ্য সরবরাহ আসে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাতের সঙ্গে জড়িতরা দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
একই সঙ্গে তিনি চিংড়ি রপ্তানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মহামারির কারণে হওয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২ বছর আগে