বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পোর্টালে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালনের জন্য এই প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে মনোযোগী হলে হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত; এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্ছনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।’
ধর্মমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান অনেকে। অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।’
সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনোরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদের অনুরোধ জানান ধর্মমন্ত্রী।
সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।