চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং সমুদ্রবন্দরে পাঠানো একটি খালি কন্টেইনারের ভেতরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। বন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে খালি কন্টেইনারে কিভাবে একজন লোক কন্টেইনারের ভিতরে করে মালয়েশিয়া গেল এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীদের।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে গত ৬ অক্টোবর ‘সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজে করে খালি কনটেইনারটি ৯ অক্টোবর পেনাং বন্দরে পৌঁছে। এই খালি কনটেইনারটি চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ হওয়া সেই বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে যায়।
১০ অক্টোবর পেনাং বন্দর থেকে খালি কনটেইনারটি বের করার সময় দুর্গন্ধ বের হলে সন্দেহ হয়। এরপর কনটেইনারটি খুলে পেনাং বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির গলিত লাশ পায়। এরপর মালয়েশিয়ার পুলিশ এসে তদন্তের জন্য লাশটি নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে ‘সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজের শিপিং এজেন্ট বাংলাদেশি গ্লোব লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বন্দরে খালি কনটেইনারে যে লাশটি পাওয়া গেছে সেটি বাংলাদেশির কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জেনেছি। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটির-৫ নম্বরে ভিড়েছে গত ৩ অক্টোবর। এরপর রপ্তানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা দেয় ৬ অক্টোবর। ৯ অক্টোবর নাগাদ সেটি সরাসরি পেনাং বন্দরে পৌঁছে। সেখানে কনটেইনার নামিয়ে জাহাজটি সিঙ্গাপুর হয়ে চীনের সাংহাই ও নিমবো বন্দরে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি মানবপাচার। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা। এর আগেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারে লুকিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতের বন্দরে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো কন্টেইনারে লাশ উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি তবে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়া কনটেইনারটির বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
জানা গেছে, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পাঠানো বাংলাদেশের কন্টেইনার থেকে লোকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তম বন্দরে বাংলাদেশি একটি খালি কন্টেইনার থেকে এক তরুণকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিশাখাপত্তম বন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ওই তরুণের নাম মোহাম্মদ রোহান হোসাইন (৩০)।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী কন্টেইনার লোড করার সময় কেডিএস কন্টেইনার ডিপোর বাবুল ত্রিপুরা নামের এক কর্মীকে একটি কন্টেইনারের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার