চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারর করেছে পিবিআই।
শনিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার আসামি মো. খাইরুল ইসলাম কালু মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
তিনি জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন কালু। বিভিন্ন ছদ্মবেশ নিয়ে কালু গত সাত বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। নগরীর আকবর শাহ এলাকায় একটি ভবনে দারোয়ানের চাকরি করতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশের আলোচিত এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ