১৯৭১ সালে চাঁদপুরের লন্ডন ঘাটে ডাকাতিয়া নদীতে নৌ-কমান্ডোদের গেরিলা হামলায় ডুবিয়ে দেয়া এমভি একরামকে ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর উত্তোলন করে নারায়ণগঞ্জে রাখা হয়। বিশাল এ জাহাজের মধ্যে সে সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রচুর গোলাবারুদ, অস্ত্র ও রেশন ছিল বলে জানান মুক্তিযোদ্ধারা ও এলাকাবাসী।
ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ও চাঁদপুরের সব উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সোমবার জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি হস্তান্তরের সময় নৌ-কমান্ডো বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী ও শাহজাহান কবির, ফরিদগঞ্জের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমভি একরাম জাহাজটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর, সংরক্ষণ এবং এ জন্য প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে জাহাজটি ঢাকায় সংরক্ষণের জন্য জায়গা না পাওয়ায় চাঁদপুর নদীবন্দর এলাকা অথবা মাদারীপুরে সংরক্ষণের জন্য স্থান নির্ণয় করার একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তাদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে জাহাজটিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর এনে লন্ডন ঘাটে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে একে ভাসমান জাদুঘর বানিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।