রবিবার পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে পতাকা ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এর ফ্ল্যাগ অব উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত। শুধু দেশে নয় বিশ্ব পরিমন্ডলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান অত্যন্ত উজ্জল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষার ক্ষেত্রে এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতিতের ন্যায় সার্বিকভাবে জনসাধারণের আস্থার একটি স্থান এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যে কোনো বিনিময়ে হোক না কেন যে কোন মূল্যের বিনিময়ে পালন করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার দুঃসাহসিক প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে।
‘সম্পূর্ণ পথে জাতির পিতার জন্মশত বর্ষের চেতনাকে ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশনের ১০০ জন সাইক্লিস্টের অংশগ্রহণে এই বছরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে একাত্তরের চেতনাকে মহিমান্বিত করে তোলার জন্য ৭১ জন সাইক্লিস্ট এই অপরাজেয় সাইক্লিং এক্সপেডিশন চলমান রাখবে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন নারী কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ ১০০ জন সেনাসদস্য অদম্য শক্তি ও সাহসিকতার সাথে তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এক হাজার ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি জমানোর যাত্রা শুরু করে। এ সময় সড়কের দুধারে স্থানীয় শত শত এলাকাবাসি পতাকা উড়িয়ে ও হাততালি দিয়ে সাইক্লিষ্টদের স্বাগত জানান। আগামী ৩ ডিসেম্বর টেকনাফে মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন শেষ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।