মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় সুমনা আক্তার নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে দুর্ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটার দূরের রমজানবেগের কাছে নদীর তীর থেকে নিখোঁজ সুমনা আক্তারের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার দুই শিশু কন্যাসহ নিখোঁজ অন্যদের সন্ধান মিলেনি।
বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনও দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার শনাক্ত এবং বাল্কহেডটি আটক করা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোস্তফা মোহসীন মেঘনার তলদেশে যাওয়া ডুবুরিদের বরাত দিয়ে বলেন, বালু কাটার কারণে নদীতে পানির গভীরতা ৭০ ফুট থেকে ১২০ ফুট পর্যন্ত।
এদিকে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাল্কহেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
১১ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধানে দুর্ঘটনাস্থল থেকে চারিদিকের ৭ কিলোমিটার জুড়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ডুবরিরা। এখনও নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন। এর মধ্যে চারজনই শিশু।
উল্লেখ্য শুক্রবার সন্ধ্যার পর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার সীমান্তবর্তী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চরকিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীতে বালুবাহী একটি নৌযানের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।