রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয় জন সদস্য পদত্যাগ করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিজয় ধর, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি ফজলুর রহমান রাজন, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. সোলায়মান, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি উচিং ছা রাখাইন কায়েস, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি ইয়াছিন রানা সোহেল, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি আলমগীর মানিক, দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি নুরুল আমীন মানিক, দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. শাহ আলম।
আরও পড়ুন: খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
লিখিতপত্রে বলা হয়, রাঙ্গামাটির সংবাদিকদের প্রধান ও প্রাচীন সংগঠন রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবে সদস্যভুক্তির জটিলতা নিরসনে প্রেসক্লাবের বাইরে অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো একই নামে তথা “রাঙামাটি প্রেসক্লাব” নাম দিয়ে নতুন সংগঠন করা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ির পরিবেশ তৈরি করেছে। এটি রাঙ্গামাটি জেলার সাংবাদিক সমাজের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এছাড়া নতুন এ সংগঠনটি মূল প্রেসক্লাবের সাথে বিরোধ তৈরির মাধ্যমে রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিরাজমান সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে।
পত্রে আরও বলা হয়, সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংবাদকর্মীদের যোগদানে তারা নিষেধ করেন এবং বেশ কয়েকজনকে কর্মশালায় যোগদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, নব্য এ সংগঠনটি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। যা সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা পরিপন্থি শুধু নয়, সাংবাদিকতার নীতিমালারও পরিপন্থি।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ: সোহেল-টুকুসহ ছয় নেতার আগাম জামিন
এসকল কারণে সংগঠনটিকে তারা পরিত্যাগ করেছে বলে জানান। এছাড়া, সংগঠনের সাথে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা এবং সংগঠনের কোনও কার্যক্রমের জন্য উক্ত সদস্যদের কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না বলে তারা লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন।