গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন বর্তমানে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নববধূ মনিরা আক্তার কেমি (১৯)।
কেমি গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কন্যা এবং ইমরান হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। তারা দুজনই স্থানীয় ফজিলা আজিজ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
আহত মনিরা আক্তার কেমি জানান, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বনি বনা না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দেয় তার মা মেরিনা বেগম। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাবতলী থানা পুলিশ ইমরানকে আসামি করে একটি মামলা রেকর্ড করে। পরদিন ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতার পর কারাগার থেকে জামিন পেয়ে গত ১ নভেম্বর কেমিকে বিয়ে করেন ইমরান।
তার অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার রাত ১০টার দিকে গাবতলীর খুপি মধ্যপাড়ার কেমির স্বামীর বাড়িতে এসআই রিপন মিয়া ৪-৫ জন সাদা পোশাকধারীসহ ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে মারপিট করে। এরপর আহত কেমিকে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে এসআই রিপন মিয়া বলেন, ‘ওই ঘরে আসামি আছে এমন সংবাদে সেখানে গেলে মনিরা আক্তার কেমি ভীত হয়ে চিৎকার করেন।’