সোমবার সকালে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ৩১ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠনের জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিকে হাজির করতে নির্দেশ দিলে সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময় প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক আগামী ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে। একই সাথে সকল আসামিদেরকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এসময় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ, আবু আবদুল্লাহ রায়হান, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ, মারুফ মল্লিকের জন্য জামিনের আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে।
মামলার ধার্য তারিখ থাকায় রবিবার রাত ৯টার দিকে যশোর শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১৩ আসামিকে পুলিশ হেফাজতে বরগুনায় পাঠানো হয়। সোমবার সকালে বরগুনার কারাগারে থাকা আরিয়ান হোসেন শ্রাবণসহ যশোর থেকে আসা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে, ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর বিকালে ২৪ জনকে (প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন) অভিযুক্ত করে দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।