সুগন্ধা নদীতে শুক্রবার গভীর রাতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়েসহ তিন জন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাবা-মেয়ে বাঁচতে পারলেও মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) বাঁচতে পারেনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আক্কাস ভূঁইয়া জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬০) ও ছোট মেয়ে আমেনা আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে অন্যান্যদের সঙ্গে চাঁদপুরের লঞ্চ ঘাট থেকে উঠেন একই পরিবারের ওই তিন সদস্য। বরগুনার ঢলুয়ায় বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে চাঁদপুর থেকে লঞ্চ যোগে রওনা দেন তারা। তাদের বহনকারী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে অন্যদের মতো তারা তিন জনও প্রাণে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বাবা-মেয়ে সাঁতরে তীরে উঠলেও মা মনোয়ারা বেগম উঠতে পারেন নি।
আরও পড়ুন: শার্শায় নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
শনিবার সকালে দুর্ঘটনার স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মনোয়ারা বেগমের লাশ ভেসে উঠে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করলে মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তফা তার মায়ের লাশ শনাক্ত করে। এই ঘটনায় তাদের পুরো বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।
ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাস ভূঁইয়া জানান, এই ব্যাপারে যে কোন সহযোগিতা দেয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন।