ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া বাবা জসিম উদ্দিনের পাশেই দাফন করা হয়েছে লামিয়াকে (১৭)। শনিবার (২৬ এপ্রিল) গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতেই বাড়ির পাশে মাঠে লামিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকে ৬ নম্বর রোডের ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় লামিয়াকে।
পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানোর ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীতে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় পরে আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে দুমকি থানা পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে, স্বামী মেয়েকে হারিয়ে শোকাবিভূত পরিবারটির এখন নিরবে নিবৃত্তে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শহীদ জসিমের চাচাতো ভাই কালাম হাওলাদার ও লামিয়ার দাদা সোবাহান হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, ১০ দশ বছর বয়সী ছোট মেয়ে রিমা এবং সাত মাসের ছেলে জোবায়েরকে নিয়ে লামিয়ার মা পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রবিবার রাতেই লামিয়ার দাফন শেষে তার মা ও বোন রিমা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান স্বজনরা।