শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণির পেশা উল্লেখ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের’ আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতাকে অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির একটা পেশা হিসেবে স্বীকৃতি যেন দেওয়া হয়। যাতে করে,- যারা বাংলাদেশের সর্বোত্তম মেধাবী তারা যেন এ পেশায় আসায় উৎসাহিত হয়। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা, যারা শিক্ষার্থীদের তৈরি করেন।’
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি০ শতবর্ষী দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর ও সহকারী শিক্ষক জামাল মোহাম্মদ কবিরকে দেওয়া এক বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির আয়োজ করা হয়।
আরও পড়ুন: এই দেশে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক অলিউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ, সহকারী শিক্ষক মিতা বেগম, আজিজুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আতিকুর রহমান, সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন সাগর, মো. তমিজ উদ্দিন, ডা. মো. আল আমিন, বর্তমান শিক্ষার্থী তাছিম তৌকি আরিফ, তাবাচ্ছুম মিনহা প্রমুখ।
বিদায়ী দুই শিক্ষক তাদের ৩৩ বছরের শিক্ষাকতা জীবনের স্মৃতিচারণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষার্জনের তাগিদসহ মোবাইল আসক্ত, মাদক, ইভটিজিং বর্জনসহ নানা উপদেশমুলক বক্তব্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে ফুলে সজ্জিত একটি গাড়িতে প্রিয় বিদায়ী ২ শিক্ষককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার মাধ্যমে ১৯৭২’র সংবিধানের কবর হবে: হাসনাত