চুয়াডাঙ্গায় শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি সারা দেশের মধ্যে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯টায় তা নেমে আসে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জামিনুর রহমান আরও বলেন, ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এইসঙ্গে আজ দেশেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই অবস্থা আরও কিছুদিন থাকবে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে রাত থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশায় আকাশ ঢাকা থাকছে। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ১০০ গজেরও নিচে নেমে এসেছে।
বেলা বাড়ার পর কুয়াশা কিছুটা কমলেও হালকা কুয়াশা চোখে পড়ছে। এছাড়া সূর্য উঠলেও তাপমাত্রা বাড়েনি। ঠান্ডার দাপটের কাছে যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে সূর্যটাও।
তীব্র শীতের কষ্টে পড়েছেন এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনের বারান্দায় বসে থাকা মাহাবুব মোরশেদ কাঁপতে কাঁপতে জানালেন, ‘ভাই খুব কষ্ট হচ্ছে। দুই দিনের জন্য ঢাকা থেকে দুই বন্ধুকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বেড়াতে এসেছিলাম। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছেছি কিন্তু জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।’
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজারে কাজের সন্ধানে আসা কয়েকজন দিনমজুর সকালে জানান, বাতাস আর শীতের তীব্রতা তাদের বেকার করে দিয়েছে। তারপরও কাজের সন্ধানে এসেছেন।
মাসুম নামে এক ভ্যানচালক বলেন, সকালে হাটে যাচ্ছি কাঁচামাল আনতে। চাদর গায়ে দিয়ে ভ্যান চালাচ্ছি, তাই শীত প্রচণ্ড শীত লাগছে। আর কুয়াশা আছে বেশ।
ব্যবসায়ী মারুফ রেজা বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলি। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা।
সাগর নামের একজন হোটেল কর্মচারী বলেন, পানি ধরলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডার ভয় করলে মালিক মজুরি দেবে না।