নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালাতে গিয়ে সাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ১১জন নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মিলে গভীর সমুদ্র ও সন্দ্বীপ উপকূল থেকে এসব রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেন। এখনো আরও ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গারা পালানোর সময় গভীর সমুদ্রে সেটি ডুবে যায়। পরদিন শনিবার ৪ জনের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন আগে নৌবাহিনী গভীর সমুদ্র থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, কোস্টগার্ড সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সমুদ্র ও সন্দ্বীপ উপকূল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করে।এছাড়া সন্দ্বীপ থানা পুলিশ উপকূল থেকে দু্ই জনের লাশ উদ্ধার করেছে।উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুই জন নারী ও পাঁচজন শিশু।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমদ খান জানান, সন্দীপ উপকূলে লাশ ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর করা হয়েছে।