প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা সদরে ৩১ শতক জায়গার ওপর সোয়া ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
২০১৯ সালের ১৬ জুন টিসবি-মামুন (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে। কাজের মেয়াদ উল্লেখ করা হয় ১৮ মাস। অর্থাৎ, কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।
সেখানে কার্যাদেশ প্রদানের সাড়ে তিন বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
সাড়ে তিন বছরে কাজের অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। যা খুবই হতাশাজনক। কাজের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ সমাপ্তি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
কাজের এ হতাশাজনক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মডেল মসজিদ নির্মাণ বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাসের কাছে।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে বেশ সময় ক্ষেপণ হয়েছে। বর্তমানে কিছুটা ফান্ডিং সমস্যা রয়েছে। তারপরও আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে কাজের গতি বাড়াতে প্রতিনিয়ত তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।
এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে।
তিনি জানান, এ প্রকল্পের অধীনে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর আওতায় অন্য তিনটি উপজেলা রুপসা, তেরখাদা এবং ফুলতলাতেও মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে রূপসা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দ্বিতীয়পর্বে রূপসা উপজেলার মডেল মসজিদসহ আরও ৫০ টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে একযোগে ৫৬৪ টি‘র মধ্যে ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন।
সারাদেশে এ, বি, সি এই তিন ক্যাটাগরিতে এ সকল মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
খুলনার চারটি উপজেলাতে মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে বি ক্যাটাগরিতে। বি ক্যাটাগরির মসজিদগুলোর আয়তন হবে এক হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪০ বর্গমিটার।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা থাকবে।
সঙ্গে থাকবে লাইব্রেরি গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন, হেফজ, শিশুশিক্ষা অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা। থাকবে হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ এবং ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য থাকবে অফিসের ব্যবস্থা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ধীর গতি