সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম।
রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পর বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো একে একে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাহাড়িকা ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হলে জয়ন্তিকা, কালনী, উদয়ন ও উপবন ট্রেনের যাত্রীরা আটকা পড়েন।
আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস চালুর মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কথা ছিল। এরপর সকাল ৭টায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। যেটি রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে সকাল সোয়া ৬টার কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাও বিলম্বিত হয়েছে। এটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল পৌনে ৯টায় ছেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার পর ট্রেনের শিডিউলে কিছুটা বিপর্যয় ঘটে। আশা করা যায় দু-এক দিনের মধ্যে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ