টেকনাফে মেজর (অব:) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রাম আদালত ওসিসহ পুলিশের নয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কয়েক ঘণ্টা পরই আত্মসমর্পণ করেন ওসি প্রদীপ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়া এলাকার বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রদীপ কুমার দাস।
এর আগে, বুধবার ওই নয়জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপ-পরিদর্শক নন্দলাল রক্ষিত, উপ-পরিদর্শক টুটুল, সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া এবং কনস্টেবল শাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ মোস্তফা।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বুধবার টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয় পলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। আর মামলার তদন্ত করবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে মেজর সিনহা তার কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কার নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।
ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
এ ঘটনায় টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।