স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল থেকে শহরের বাজার স্টেশন এলাকার বিভিন্ন কাউন্টার থেকে ঢাকাসহ আন্তজেলা দূরপাল্লার বাসগুলো পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করেছে। তবে এসব কাউন্টারে যাত্রী সাধারণের প্রচুর ভিড় থাকলেও ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে বাসগুলো।
তবে, এসব দূরপাল্লার বাস যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৮০ শতাংশেরও বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকাগামী যাত্রী বলেন, যেখানে আগে আড়াইশ টাকা ভাড়ায় ঢাকায় যাতায়াত করা যেত। এখন সাড়ে ৪শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এ সময় আড়াইশ টাকা ভাড়া দেয়াই কষ্টকর। সেখানে এখন প্রায় দিগুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে এসআই এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪৫ সিটের গাড়িতে ২২ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। ২৫০ টাকার জায়গায় এখন সাড়ে ৪শ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। ঢাকা যাতায়াতে আমাদের গাড়ি প্রতি খরচ হয় প্রায় ১১ হাজার টাকা। ২২ সিটে যাত্রী তুললে সাড়ে ৪শ টাকা করে প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্যাশ জমা হবে। ফেরার পথে যাত্রী না পেলে গাড়ির খরচ ওঠানোই সম্ভব হবে না।
জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম লিটন বলেন, প্রথমে মূল ভাড়ার ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা সেভাবেই ভাড়া নেয়ার জন্য শ্রমিকদের বলে দিয়েছিলাম। রবিবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৮০ শতাংশের পরিবর্তে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
কাউন্টারগুলোতে এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া না নিতে বলা হয়েছে। তবে যারা অগ্রিম টিকিট বুকিং করেছিল তাদের কাছ থেকে কিছু বেশি নেয়া হয়েছে, বলেন তিনি।
এদিকে জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।