স্বাস্থ্যবিধি
করোনার জেএন.১ ধরন: মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ এনটিএসির
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি (এনটিএসি)।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এনটিএসির সভাপতি ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিটির ৬৫তম সভায় চারটি সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের উত্থানের সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনও শনাক্ত হয়নি বলে বৈঠকে জানানো হয়। একই সঙ্গে বিশেষ করে হাসপাতালসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের মাস্ক পরাসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় কমিটি।
এছাড়া সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার মাধ্যমে নজরদারি জোরদার এবং ভবিষ্যতে জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা টেস্ট ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের করোনার ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রোগীর কোনো উপসর্গ থাকলে অস্ত্রোপচারের আগে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
৯ মাস আগে
সবার জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল। একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের কোনও স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিস: লেসন লার্ন্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুডস’ ঘোষণার ব্যাপারে জোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তার বক্তব্যে তিনি দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১ এর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পায়, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে ড. মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার অগ্রগতির অভাব দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তো, ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো-লয়জাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও বক্তব্য রাখেন।
এ অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং বেসরকারি অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, এওএসইডি, বিডব্লিউওটি, জাগো নারী, গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন এবং এসডিএ-কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘রিভাইটালাইজিং সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসিস ফর ক্রিয়েটিং মোর অ্যাকসেসিবিলিটি টু ড্রিংকিং ওয়াটার’ শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকালে তিনি মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ২৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২২৪ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৬০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৭৬ জন হাসপাতালে ভর্তি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৫০ জন রোগী। এর মধ্যে ৭১১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৩৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট সাত হাজার ৩৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ছয় হাজার ৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ছয় হাজার ৫১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৩২৪ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ১৯২ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ: আট মাসে মৃত্যু ২২
২ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা উদযাপনের আহ্বান মন্ত্রণালয়ের
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল আযহা উদযাপন এবং ঈদগাহ ও মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনও ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অযু করে ঈদগাহে এবং মসজিদে আসতে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ঈদগাহ ও মসজিদে অযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের জামাতে অংশ নেয়ার সময় প্রত্যেককে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং ঈদগাহ বা মসজিদে রাখা টুপি বা জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবে না।
এতে বলা হয়, ঈদের নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং অবশ্যই এক সারি খালি রেখে নামাজের জন্য দাঁড়াতে হবে।
মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামদেরকে দোয়া করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে করতে খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ঈদের দিন পশু কোরবানির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতেও জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত
ঈদে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু
ঈদ: লঞ্চে মোটরসাইকেল ১০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ
২ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন: রাষ্ট্রপতি হামিদ
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব পালনে আহ্বান জানিয়েছেন “যেহেতু (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে লোকজন চলাফেরা ও জীবনযাত্রার সম্পর্কে সচেতন না হলে যে কোনো সময় (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।”
মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজ আদায় করার পর বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মাহামারির কারণে গত দুই বছর ঈদসহ কোনো সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় উৎসবই প্রত্যাশিত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন ও উপভোগ করা যায়নি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তাই এবার মানুষের মধ্যে বাঁধ ভাঙা আনন্দ উপভোগের প্রবণতা দেখা দিবে-এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, “তবে আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও করোনা ভাইরাস পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবাইকে খুশি করতে গিয়ে যেন আমরা বিপদ ডেকে না আনি।”
তিনি দেশবাসীকে ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে উপভোগেরও আহ্বান জানান।
বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানোই হোক এবারের ঈদুল-ফিতরে সবার অঙ্গীকার।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, বঙ্গভবনে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
২ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আপত্তি নেই। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন , আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এরপরও আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বাইরে গেলেই মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার জন্য যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুতফর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাগেরহাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ
বাগেরহাটে হাট-বাজার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমহল এবং গণপরিবহনসহ সর্বত্রই নানাভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছে না। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৪৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এসময় ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২০৮ জন। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১৪৪ জন।
হাট-বাজারসসহ সর্বত্রই মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও সেই নির্দেশনা মানার বালাই নেই। মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে জেলা প্রশাসনেরপ্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হলে অবশ্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত ৫৮.৬০ শতাংশ
এদিকে বাগেরহাটে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বুধবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বুথগুলোতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন ১২ হাজারের উপরে মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৬ জনকে প্রথম ডোজ, ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪২ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৩ হাজার ৩১১ জনকে সুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৬ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৬৭ হাজার ১৮৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৪৬.০৫ শতাংশ। সংক্রমণ রোধ করতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জেলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন ৬৪.০৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৪৩.২৩ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ ১.৩২ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ১১৩.৩২ শতাংশ ভ্যকাসিন দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৩২ শতাংশ বেশি দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিধি-নিষেধ বাড়বে কি না সিদ্ধান্ত একসপ্তাহ পর
আগামী একসপ্তাহ পর করোনা পরিস্থিতি দেখে চলমান বিধি নিষেধ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন সেটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো।
আরও পড়ুন: করোনা: জনগণের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ, রেড জোনে সাধারণ ছুটি
৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশ ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এ অবস্থায় গত শুক্রবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এর মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রবিবার জারি করা আরেকটি বিধি নিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সকলেই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই- এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যেনো খুব তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।
গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে, এজন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে।
আরও পড়ুন: হিলিতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ, চলবে আমদানি-রপ্তানি
সেক্ষেত্রে আমরা চাইব যাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সকলের জন্যই ভালো। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরকেও আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এরমধ্যে দিয়ে আমরা একটা ভাল রেজাল্ট পাব। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করব।
সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এর আগে মোবাইল কোর্টের নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
২ বছর আগে
টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয়ে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই একটি মাত্র কেন্দ্রে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না, যে যাঁর মতো করে চলেছেন। হাসপাতালের সামনেই ছিল অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প মেতে উঠেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ!
রাণীশংকৈলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে এই কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই।
এছাড়া টিকা কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও।
অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করাতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা যাতে কোনো বাধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। এটি আরও সংক্রামক। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর প্রতিদিন পত্রিকার একযুগ পদার্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন এক দুযোর্গময় সময় অতিক্রম করছে। এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এটা আতংক ছড়াচ্ছে। এটি একটি ভয়ংকর ভাইরাস। এ ভাইরাস মানুষকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এ ভাইরাসের সেই ক্ষমতা রয়েছে। অতএব আমাদেরকে খুব সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি কিছুটা ক্ষোভের সাথেই বলেন, ‘এখনতো কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায় না। মাস্ক পড়ছেন না। আমাদেরকে এ ঢিলেমী ঝেড়ে ফেলে দিয়ে স্বাস্থবিধি মানতে হবে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে এই্চএসসি পরীক্ষা। এই পরীক্ষটি ছাত্রজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সংক্রমণের কারনে এ পরীক্ষাটি যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই স্বার্থে আমাদের সবাইকে স্বাস্থবিধি মানতে হবে, যেনো আমাদের সংক্রমণ না বাড়ে, যেনো এমন অবস্থা না হয় যে পরীক্ষাটা বন্ধ করে দিতে হয়। সভা সমাবেশও কমিয়ে দিতে হবে যেনো লোক সমাগম না হয়। গত করোনায় আমরা ভালোই ছিলাম। আমরা সে অবস্থা থেকে এখন যেনো পিছিয়ে না যাই। আমরা সবাই খুব সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি। এ অনুষ্ঠানে করোনাকালে নিষ্ঠা, সাহস ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ অবদানের জন্য সাতজন চিকিৎসক ও জেলার আটজন বিশিষ্টজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
এসএসসি ও এইচএসসির সময়সূচি প্রকাশ
বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে