তারা হল- কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার মংলারকুঠি গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও তার সৎ ভাই শরিফ মন্ডল (২২)।
বেলকুচি থানার এসআই জয়দেব কুমার সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে যুবক জাহাঙ্গীর আলম সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই দক্ষিপাড়া গ্রামে তাঁত শ্রমিকের কাজ করে। কয়েকমাস আগে থেকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরবেরুয়াবাড়ী এলাকার এক কিশোরীর সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে।
পরে বিয়ের করার আশ্বাস দিলে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ওই কিশোরী বেলকুচির তামাই দক্ষিণপাড়া গ্রামে আসে। সেখানে পলাশ সরকার নামে এক ব্যক্তির ঘর ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করে তারা। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে।
এরপর শুক্রবার বিকালে জাহাঙ্গীর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শশ্মানপাড়া গ্রামে বসবাসকারী তার সৎ ভাই শরিফ মন্ডলের সাথে ওই কিশোরীকে বিয়ে দিতে চান।
বিয়েতে রাজি না হয়ে মোবাইল ফোনে নিজের বাবা মাকে এ ঘটনা জানান কিশোরী। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় তার বাবা মা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন।
পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই ২ ভাইকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।