সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে চিকনাগুল ইউনিয়নবাসীর ডাকে মঙ্গলবার সকাল ১১টা হতে জৈন্তিয়া গেইট নামক স্থান হতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক মৃত্যুর আরেক নাম ‘ডিআই’ ও ‘এইচ পিকআপ’ গাড়ি গুলো। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি বিগত ৬ মাসে যেসকল দুর্ঘটনা ঘটেছে এসব ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, লাইসেন্সবিহীন চালক ও শিশু চালকদের মাধ্যমে যানবাহন চালানো বন্ধ করতে হবে, প্রতি মাসে দুইবার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ আইনে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করতে হবে, ডিআই ও এইচ পিকআপ গাড়িতে চোরাচালানের গরু-মহিষ, চোরাচালান পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে, নম্বরবিহীন টোকেন পরিচালিত সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ করতে হবে এবং মহাসড়কে টমটম ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে- এসব দাবিতে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য জৈন্তিয়া প্রবেশ গেইট এলাকায় উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহিদুর রহমান, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, জেলা পুলিশের টিআই রফিক আহমেদ, সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আব্দুছ সালাম, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, চিকনাগুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান চৌধুরী।
প্রসঙ্গত সোমবার (১৮ মার্চ) সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অফিসের সামনে গরুবোঝাই পিকআপ ও যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ২জন।