সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য ঘরবাড়ি থেকে পানি না সরায় খাট বা চৌকির উপর শুয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। চুলায় আগুন ধরাতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন হাওরবাসী।
একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যায় সুনামগঞ্জবাসীকে বিপর্যস্থ করে তুলছে। বেকারত্ব আর হাহাকারের চিত্র এখন জেলাবাসীর নিত্যসঙ্গী।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তারা জানায়, অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মাত্র ১০দিনের ব্যাবধানে ২য় বারের মত সুনামগঞ্জে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের পুর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়া, কালিপুর, হাছনবসত, বড়পাড়া, নবীনগর, পশ্চিমবাজার, তেঘরিয়া, সুলতানপুর, মল্লিকপুরসহ কয়েকটি এলাকায় এ ঘরবাড়ি থেকে এখনও পানি সরেনি।
তবেএ চিত্র শুধু শহরে নয়, সুনামগঞ্জের প্রতিটি এলাকায়। সদর উপজেলার মোহনপুর পৈন্দা গ্রীমণ সড়ক ভেঙ্গে শতভাগ বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। আমনের বীজতলা ডুবে গেছে।
এদিকে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকায় সড়ক ভেঙ্গে প্রবল বেগে নদীর প্রবেশ করছে। সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার রাস্তা ভেঙ্ঘে সুরমার পানি ঢুকছে হাওরে। এ পানি গিয়ে হামলে পড়ছে বাড়িঘরে। সবখানেই বাঁধ এবং নদীর তীরবর্তী সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় হাওরের পানিতে ভাসছে নিম্নাঞ্চল।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে এবং দুর্গতদের মাঝে বিতরণ চলছে।