সুন্দরবনে ডাকাত বাহিনীর হাতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বুধবার(৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এসময় জেলেদের ১৬টি বোট উদ্ধার করা হয়। তবে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে নারীসহ ওই ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে তাদের আস্তানায় জিম্মি রেখেছি বলে জানায় কোস্টগার্ড।
ডাকাত দলের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত ৩৩ জনের মধ্যে ছয়জন নারী এবং ২৭ জন পুরুষ রয়েছেন।
অপহৃতরা সুন্দরবনের নদী ও খালে কাঁকড়া এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের সবার বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় বলে কোস্টগার্ড জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী ১৬টি নৌকাসহ ৩৩ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপরহণ করে তাদের গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রাখে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড মোংলা বেইস ও নলিয়ান আউটপোস্টের সদস্যরা বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত তারা বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ডাকাত দলের আস্তানা থেকে ১৬টি বোটসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ওই ৩৩ জনের মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ: ৩ পুলিশ সদস্যসহ আটক ৪
এতে আরও জানানো হয়, ছয় নারীসহ ৩৩ জন জেলে ১৬টি বোট নিয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা থেকে কাঁকড়া এবং মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। এর পর সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে ৩৩ জনকে অপহরণ করে তাদের আস্তানায় জিম্মি রাখে এবং মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেকের কাছে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করে।
উদ্ধার ৩৩ জনকে কোস্টগার্ডের কয়রা স্টেশনে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।