বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে র্যাব-৭।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় কোনো জলদস্যু বা বনদস্যুকে আস্তানা গড়তে দেয়া হবে না। আমাদের র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং প্রয়োজনে বিজিবি রয়েছে। আপনারা পালিয়ে বেড়াতে পারবেন, কিন্তু আস্তানা গড়তে পারবেন না।’
অনুষ্ঠানে র্যাবের তত্ত্বাবধানে ৩৪ জলদস্যু তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তারা অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আত্মসমর্পণ না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি হলে কী পরিস্থিতি হবে, তা আপনারাই জানেন। যে যেখানে আছেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে। তাই কঠোর পরিণতির আগে আত্মসমর্পণ করুন। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা উপকূলে সকল দস্যুবাহিনী দমন করব।’
‘যারা আত্মসমর্পণ করেননি তারা ভাববেন না যে আপনাদের কিছু হবে না। আপনারা যা যা করছেন, সবই আমরা দেখছি, কোথাও পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক দক্ষ ও সক্ষমতায় পরিপূর্ণ,’ বলেন মন্ত্রী।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জলদস্যু বাইশ্যা ডাকাত বাহিনীর তিন, খলিল বাহিনীর দুই, বাদশা বাহিনীর তিন, জিয়া বাহিনীর দুই, কালাবদা বাহিনীর চার, রমিজ বাহিনীর এক, ফুতুক বাহিনীর তিন, বাদল বাহিনীর এক, দিদার বাহিনীর এক, কাদের বাহিনীর এক ও নাছির বাহিনীর তিন সদস্য এবং অন্যান্য আরও ১০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকালে তারা মোট ৯০টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং দুই হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছেন।