জলদস্যু
মেঘনায় জলদস্যুর দুদলের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলদস্যুর দুদলের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কালীরচর ও চাঁদপুরের মোহনপুরের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ভাসানচরের বাসিন্দা রাসেল ও চাঁদপুর মতলবের রিফাত। আহত আইয়ুব আলীকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে 'মাদক সংক্রান্ত বন্দুকযুদ্ধে' নারী নিহত
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানা জহির ও কিবরিয়া দলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় দুজন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও একজন আহত হন।
মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নৌপুলিশ কাজ করছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
৯০ দিন আগে
বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু মুক্ত করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর পতেঙ্গাস্থ র্যাব-৭ এর সদর দপ্তর মাঠে ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
তিনি আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের উদ্দেশে বলেন, ‘দস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনো শান্তি ফিরিয়ে আনবে না।’
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন বঙ্গোপসাগর দাপিয়ে বেড়ানো অর্ধশত জলদস্যু।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করব না। যারা এই পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন।’
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার সদস্য আহত হয়েছেন, অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও রয়েছে। তারা কখনো অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়ে বাধ্য হয়ে এসব কাজে জড়িত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা তাদের এইসব কাজে জড়িত হতে বাধ্য করেন।’
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম তো আগের সেই চট্টগ্রাম নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। টানেল সেতু সব হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। যেসব জলদস্যু এখনো ফিরে আসেনি তাদের কাউকে আমরা ছাড় দেব না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৮টি বাহিনীর ৫০ জন জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, র্যাবের মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন, সিএমপি পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহাবুব আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, র্যাব-৭ এর পরিচালক মাহবুব আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
৩৩৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১২ গ্যাংয়ের ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর এলিট হলে অনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার জলদস্যুরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দেন।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনায় জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত: খালিদ
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক শরীফ-উল-আলম বলেন, ৫০ জন জলদস্যুর মধ্যে একজন নারী এবং তাদের মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রয়েছেন।
এক্ষেত্রে ৩৫টি বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শাটার গান, ১টি গান, ১টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এসএমজি, ২টি এয়ারগানসহ আন্তর্জাতিক অস্ত্র জমা দেওয়া হয়।
র্যাব-৭ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৩৪২ জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৬০৩টি অস্ত্র ও ২৯ হাজার ১২৩টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৩৬ দিন আগে
জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহর মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা
সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানায় এমভি আব্দুল্লাহ’র মালিকপক্ষ এসআর শিপিং (কবির গ্রুপ)- এর গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
তিনি ইউএনবিকে বলেন, বুধবার দুপুরে জলদস্যুরা ফোন করেছে। তবে এখনও কোন কিছু তারা দাবি করেননি। নাবিকদের বিষয়ে এবং জাহাজের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে মাত্র। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা আশা করছি একটি সমাধানের পথ বেরিয়েছে। দস্যুরা জানিয়েছে নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তাদের উপর কোনো নির্যাতন করা হবে না। তারা আবারও যোগাযোগ করবে।
নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, যোগাযোগ শুরুর দিকটি ইতিবাচক। মালিকপক্ষ ও বিমাকারী প্রতিষ্ঠান জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। পরে জাহাজটি তারা সোমালিয়ার একটি উপকূলে নোঙ্গর করে। জিম্মি করার ৯ দিনের দস্যুদের পক্ষ থেকে বুধবার প্রথম যোগাযোগ করা হয় বলে মালিক পক্ষ জানায়। এর মধ্য দিয়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার আশার আলো দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী
৪০৭ দিন আগে
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
সোমালিয়ান জলদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহতে কর্মরত নাটোরের জয় মাহমুদের পরিবারের প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে উৎকন্ঠায়। অর্ডিনারি নাবিক হিসাবে কর্মরত জয় মাহমুদের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর গ্রামে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটিকে জিম্মি করে জলদস্যুরা। জিম্মি করা হয় জয়সহ জাহাজের ২৩ জনকে। জলদস্যুদের কবলে পড়ার মুহূর্তে জয় তার চাচাতো ভাই মারুফকে জানিয়েছিলে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা। তবে বাবা-মাকে জানাতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু চাপা থাকেনি সে কথা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পায় পরিবার। একমাত্র ছেলের বন্দিদশার কথা শোনার পর থেকে বাবা জিয়াউর রহমান ও মা আবিদা বেগমের চোখে ঘুম নেই। তারা চান তাদের সন্তানসহ জাহাজের সবাইকে উদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, নাটোরের জয় মাহমুদ গত বছরের ২৯ নভেম্বর জাহাজটিতে যোগদান করে। জাহাজে জিম্মি ২৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১১ জন, নোয়াখালীর ২ জন। এছাড়া নাটোর, নওগাঁ, ফরিদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, নেত্রকোণা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও খুলনার নাবিক রয়েছেন।
৪১৪ দিন আগে
জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
কেএসআরএমের কর্মকর্তারা জানান, জাহাজটি আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা জাহাজের দখল নেয়।
জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জলদস্যুর কবল থেকে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জাহাজটির ২৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ
কেএসআরএম-এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে জানতে পেরেছি। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে জিম্মি ২৩ ক্রুর সবাই জাহাজের কেবিনে নিরাপদে আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
জিম্মি হওয়া ক্রুরা হলেন- ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেক্ট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো. আনোয়ারুল হক, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো. নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস মো. নূর উদ্দিন ও ফিটার মো. সালেহ আহমেদ। তাদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।
গোল্ডেন হক নামে পরিচিত এমভি আবদুল্লাহ গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় আসে। জিম্মি জাহাজটিসহ কেএসআরএম গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। সে সময় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত করা হয়।
৪১৫ দিন আগে
বাগেরহাটে সুন্দরবনের ২ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে সুন্দরবনের একটি জলদস্যু বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এই তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট ও খুলনা থেকে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আশরাফ আলী মুন্সির ছেলে রেজাউল মুন্সি (৩২) এবং একই উপজেলার জয়নাল সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫)। তারা সুন্দরবনের কথিত জলদস্যু ‘নয়ন বাহিনী’র সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, সুন্দরবনের জলদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আটকের ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশ সোমবার গভীর রাতে প্রথমে খুলনার জেলাখানা ঘাট এলাকা থেকে এসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে শরণখোলা থেকে রেজাউল মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সুন্দরবনের মধ্যে অস্ত্র লুকানো রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তাদের দেখানো মতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের পাথুরিয়া নদীর পূর্বপাড়ের গভীর নলবোনের মধ্যে থেকে তিনটি একনালা বন্দুক, ১০ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, দু’টি দা, একটি হাতুড়ি, একটি বাজিফুটানো যন্ত্র এবং জেলেদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় কাজে ব্যবহৃত একটি খাতা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শরণখোলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক আরও জানান, এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর সুন্দরবনে দস্যুদের আস্থানা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জলদস্যু বাহিনীর তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
গত ৬ মাসে সুন্দরবনের জলদস্যু নয়ন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এখনো বাহিনী প্রধান নয়নসহ চারজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে বাগেরহাট পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ দস্যুর আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রক্রিয়া।
এরপর কয়েক দফায় ৩২টি দস্যু বাহিনী প্রধানসহ ৩২৮ জলদস্যু আত্নসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। ওই সব দস্যুদের আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনে জলদস্যু অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে।
তবে সুন্দরবনে আবারও দস্যুদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
৬৮১ দিন আগে
চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
বঙ্গোপসাগরে ১৬টি জেলে-নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও লুণ্ঠিত ৭০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারশনিবার বিকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গভীর সমুদ্র ও বাঁশখালীতে ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে সাম্প্রতিককালে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র, তিন হাজার পিসের বেশি ডাকাতি করা ইলিশ মাছ, বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
৯৬৪ দিন আগে
ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার রাত ১০টার দিকে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের বাতির খাল এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
তারা হলেন-শাকিল, ধলু মিয়া, সোহাগ, রাকিব, রাকিব মিয়া ও মানিক। তাদের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলায়।
আরও পড়ুন: মহেশখালীতে ৬ জলদস্যু আটক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাতির খালে ১২ সদস্যের জলদস্যু দল একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রলার নিয়ে আসে। তারা বাতিরখাল ঘাট থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় স্থানীয়রা জলদস্যুদের ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে অস্ত্রসহ ছয় জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা জলদস্যুতার সাথে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
৯৮২ দিন আগে
চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলের জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জলদস্যূ কামাল বাহিনীর প্রধান কামালসহ ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব-৭। এসময় কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারসহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) র্যাব-৭, চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও ক্যাম্প (বহদ্দারহাট) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে আছে-একটি একনালা বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রামদা, তিনটি চাপাতি, একটি ধারালো চাকু এবং একটি ক্ষুর উদ্ধার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল-জলদস্যু নেতা মো. কামাল (৩৫), বাহিনী সদস্য মো. নূর নবী (২৬), মো. শামীম (২৪), মো. এ্যানি (৩১), মো. ফেরদৌস মাঝি (৩৫)। তাদের সকলের বাড়ি রামগতি ও সুবর্ণচর এলাকায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোস্টগার্ড পূর্বজোনের মাধ্যমে জানা যায় কুখ্যাত জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা জেলেদের ব্যবহৃত কাঠের ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করে। এরপর মারধর করে জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের আত্নীয় স্বজন এবং বোট মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দাদের মাধ্যমে অবগত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের একটি ভবনের ২য় তলায় অভিযান পরিচালনা করে। টানা ৭২ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড সংলগ্ন সাগর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ থেকে ছিনতাই করা বোটের কেভিন থেকে অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
১১৭০ দিন আগে