বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর দলিলটি হস্থান্তর করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী (রাজনৈতিক) হাসনাত হোসাইন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে হাওরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে কর্মমুখী করার পরিকল্পনায় এই ভূমি দান করেন মন্ত্রী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এখানে মন্ত্রীর মা আজিজুন্নেসার নামে একটি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পে এটি অনুমোদনও পেয়েছে।
জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রীর নিজ গ্রাম ডুংরিয়ায় ৪১ শতক জমি রয়েছে। সেই জমি সরকারকে দান করতে পরিবারের সাথে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছর পারিবারিক সম্মতির পর তিনি বাড়িটি দান করার বিষয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণায় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারও পরিদর্শনে যান একাধিকবার। সেখানে নারীদের কল্যাণে কি কি করা যায় তার একটি সুপারিশও তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেন তারা। তবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সেখানে একটি টেক্সটাইল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সব প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর গত ৭ জুলাই পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এলাকায় গিয়ে সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ওই জমির রেজিস্ট্রি সম্পাদন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সরকারের পক্ষে দলিলটি গ্রহণ করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় একজন সজ্জন মানুষ। তিনি তার পৈত্রিক ভিটা মায়ের নামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য দান করে দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দলিলটি হস্থান্তর করেছি। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এটি পাঠিয়ে দেব।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি পরিবারের সবার সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই এমন মহতি কাজে জমি দান করতে পেরে খুশি। আমার মায়ের নামের এই প্রতিষ্ঠানে যাতে হওরাঞ্চলের অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, দুস্থ নারীরা আবাসিক প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই স্বপ্ন দেখছি আমি। আমি বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়কে জমিটি দান করে দিয়েছি।’ দলিল হস্তান্তরকালে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর ভাতিজা মনিরুজ্জামান সুজন, ভাগ্নে জাভেদ আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম শিপন ও কৃষক লীগ নেতা মইনুল ইসলাম।