কনকনে ঠান্ডা আর সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে নওগাঁয় আবারও থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। এতে নিদারুন কষ্টে পড়েছে, দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। সকালে কুয়াশা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডার দাপট। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা থাকলেও হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি
এদিকে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে শ্রমজীবী মানুষের দেখা মিললেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম ছিল।
সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার রিকশা চালক লিটন হোসেন বলেন, গত দুই থেকে আবার খুব শীত পড়েছে। এত বাতাস হচ্ছে সবাইকে একেবারে কাবু করে ফেলেছে। এরমধ্যে গাড়ি চালানোই কষ্ট। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না।’
নওগাঁ বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। হিমেল বাতাসের কারণেই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ