উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের তালে সারাদেশের মতো মাগুরায়ও মহাসমারোহে আয়োজিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে আঠারো খাদা ইউনিয়নের বাঁশকোঠা গ্রামে এক পূজা মণ্ডপের বিশেষত্ব নজর কেড়েছে সবার। তবে ওই মণ্ডপে দুর্গাপূজার এমন আয়োজন এ বছরই প্রথম নয়।
গত ১৫ বছর ধরে শুধুমাত্র নারীদের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে এই মণ্ডপে। ৩২ জন নারী মিলে এই পূজার আয়োজন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার আনন্দে মেতেছে রাজধানী; মহাঅষ্টমীতে মণ্ডপগুলোতে ভিড়
পূজা কমিটির সভাপতি অঞ্জলি টিকাদার বলেন, বর্তমানে কমিটিতে ৩২ জন নারী রয়েছেন। প্রথম বছর পূজা করে ২২ হাজার টাকা বেঁচে যায়। তা দিয়ে কালি মন্দিরের পাশে নতুন একটি শিব মন্দিরও তৈরি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এবছর সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাল পেয়েছি যা দিয়ে পূজার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব নয়। এলাকার নারীরা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে পূজাটা সফলভাবে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তরুণ বিশ্বাস বলেন, বাঁশকোঠা গ্রামে আরও দুর্গাপূজা হলেও এ পূজাটি অন্যগুলোর থেকে ব্যতিক্রম। সারাবছর নারীরা বিভিন্নভাবে একটু একটু অর্থ জমিয়ে এই পূজার কাজে ব্যয় করেন।
তবে এবছর সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় খরচ মেটাতে পূজা কমিটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন, সব জায়গায় পুরুষরা পূজা পার্বণের আয়োজন বা কাজ করে থাকে। শুধুমাত্র বাশঁকোঠা গ্রামে নারীদের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে নারীরা পূজার সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে থাকেন।