নারী
ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামে ঈদমেলার একটি অস্থায়ী দোকানের ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হন তারা।
তাদের মধ্যে ১০০ জনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফুচকা দোকানি মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভৈরব নদের সেতুর ওপারে প্রতিবছর ঈদের দিন মেলা বসে। গ্রাম ও দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ভৈরব সেতু দেখতে এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য এ মেলায় আসেন। ঈদের দিন অনেকে সেখানে আসেন। মেলায় হরেকরকম খাবারের দোকান বসে। এখানেই মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অস্থায়ী ফুচকার দোকান বসিয়েছিলেন। মেলায় বেড়াতে আসা শতশত মানুষ এ দোকানের ফুচকা খেয়েছিলেন।
নড়াইল সদর উপজেলার তপনবাগ গ্রাম থেকে ইব্রাহিম শেখের দুই মেয়ে রিমা খাতুন (২৮) ও আয়শা খাতুন (২৪) মেলায় আসেন। আয়শা খাতুনের সঙ্গে এসেছিল তার দুই ছেলে মোহাম্মদ আলী (৭) ও ওমর সরকার (৫)। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সবাই ওই দোকান থেকে ফুচকা খান। রাতে বাড়ি যাওয়ার পর পেটে যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা, বমি ও খিচুনি শুরু হয়। অনেকে সেদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো
মঙ্গলবার (১এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। অসুস্থদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অসুস্থ বাদশা মিয়ার ভাই সাইফুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোমবার ঈদমেলায় গিয়ে ওই দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে বাড়ি আসার পর থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি ফুচকা খাইনি। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৪ জনকে খুলনায় ভর্তি করেছি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রঘুরাম চন্দ্র বলেন, ‘খাবারে জীবাণু থাকার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
১৫ দিন আগে
সিলেটে বাসার বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে এক নারীর আত্মহত্যা
সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় ছয়তলা ভবনের নিজ বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে সাবিহা সুলতানা (৩৭) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
সাবিহা সুনামগঞ্জ সদর থানার ষোলঘর কলোনি রোড এলাকার মৃত মহি উদ্দিন আহমদের মেয়ে। তিনি বিবাহিত, তার ১০ বছরের এক সন্তানও রয়েছে।
বাবার পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা এলাকার শুভেচ্ছা-৮ নম্বর বাসার ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সাবিহা। নিহতের স্বামী মো. ফয়সাল ইমাম বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে চাকরি করেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বিশ্লেষণ করে দেখেন, সাবিহা নিজ বাসার বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ৩ তলা বাসার দ্বিতীয় তলার কার্নিশে আটকে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা কার্নিশ থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘আপাতত এটাকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে, তারপরও আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৫ দিন আগে
নারীদের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে বগুড়ার প্রধান ঈদ জামাতে
বগুড়ায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের সূত্রাপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় (বড়) জামে মসজিদ, বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ডিসি অফিস মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে সম্প্রতি ঈদগাহ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া শহরের প্রায় শতাধিক ঈদগাহে সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় ঈদগাাহ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ডিসি হোসনা আফরোজা। এ সময়ে পাশের মাকার্স মসজিদে একই জামাতে নারীদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা নিতে কমিটির সদস্যদের পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদসহ কমিটির সদস্যরা।
এই মাঠে এবারই প্রথম নারীরা পুরুষের সঙ্গে একই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এ সিদ্ধান্তে শহরের নারী মুসল্লিরা আনন্দিত।
১৮ দিন আগে
নারীদের জন্য মার্শাল আর্ট: ঢাকার কোথায় শিখবেন কুংফু, জুডো, বা কারাতে
আত্মরক্ষার সক্ষমতা শারীরিক সুরক্ষার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই সমসাময়িক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের জন্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখা অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষণ তাদেরকে প্রতিদিন পথেঘাটে চলতে ফিরতে নিরপত্তার ক্ষেত্র তৈরি করবে। ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে কুংফু, জুডো বা কারাতের মতো মার্শাল আর্ট শেখানো হয়। তন্মধ্যে নারীদের জন্য সুব্যবস্থা থাকা ট্রেনিং স্কুলগুলোর ব্যাপারে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নারীদের মার্শাল আর্ট ও আত্মরক্ষার কৌশল শেখার জন্য ঢাকার ১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
.
কেও ফাইট স্টুডিও (KO Fight Studio)
বিশ্ব কারাতে সংস্থা শিনকিওকুশিঙ্কাই-এর বাংলাদেশ শাখা পরিচালিত হয় কেও (পূর্ণরূপ কারাতে অর্গানাইজেশন) ফাইট স্টুডিও নামে। এখানে জাপানের কিয়োকুশিন কারাতে স্টাইল শেখানো হয়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রধান প্রশিক্ষক শিহান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হোসাইন একজন ৪র্থ ড্যান (৪র্থ ডিগ্রির ব্ল্যাক বেল্টধারী)।
KO Fight Studio-এর কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে মাস্টার স্ট্রাইকিং, এস্কেপ ও ডি-এস্কেলেশন দক্ষতা। এগুলোর প্রত্যেকটি বাস্তব জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে আত্মরক্ষার জন্য সহায়ক।
প্রশিক্ষণের সময়কাল ন্যূনতম ৮ সপ্তাহ, যেখানে প্রতিটি ২ ঘণ্টা করে মোট ১৬টি ক্লাস নেওয়া হয়। ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা এবং মাসিক ফি ৪ হাজার টাকা।
ঠিকানা: লেভেল- ৪, ভবন নং- ১৯-২০, রোড- ১১৩/এ, গুলশান (শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের পাশে)
যোগাযোগের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/KOFSDhaka/
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
চাইনিজ কুংফু ও উশু স্কুল (Chinese Kung Fu and Wushu School)
এই স্কুলের ট্রেনিং-এর মূল উপজীব্য হলো চীনের ঐতিহ্যবাহী উশু এবং কুংফু। স্টাইল দুটির আধুনিক রূপান্তরিত সংস্করণ যেমন সানশু, তাউলু, ও উইং চুন-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির পথ চলা শুরু হয় সিফু আব্দুল্লাহ আল মনসুরের হাত ধরে। তিনি মার্শাল আর্টের বিভিন্ন শাখায় পারদর্শী এবং এখানকার প্রধান প্রশিক্ষক।
Chinese Kung Fu and Wushu School-এ স্ট্রাইকিং, গ্র্যাপলিং, অস্ত্রশস্ত্র, এবং হাইব্রিড/মিক্সড মার্শাল আর্টস-এর ওপর তালিম দেওয়া হয়। স্ট্রাইকিং প্রশিক্ষণে রয়েছে বক্সিং, কারাতে, মুয়ে থাই, কেনপোসহ বিভিন্ন যুদ্ধশৈলী। গ্র্যাপলিং শাখায় আছে জুডো, আইকিডো, সুমো, ও রেসলিং-এর মতো কৌশল। তদুপরি, এখানকার প্রশিক্ষণার্থীরা কেন্ডো, ফেন্সিং, ইয়াইডো-সহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও পেয়ে থাকেন।
প্রতিষ্ঠানটি শুধু শারীরিক শক্তি নয়, মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা, মনঃসংযোগ বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেয়।
বিশেষ সুবিধা হিসেবে রয়েছে অনলাইন কুংফু লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
প্রধান শাখাঃ ভবন-৫৮, রোড-৫, ব্লক-এফ, আফতাবনগর, বাড্ডা। এছাড়াও ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা ও উত্তরা’তেও এর শাখা আছে।
ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/wushubd
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি (Sobhan Karate Academy)
এই অ্যাকাডেমিতে ৫ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত সব বয়সের বয়সী প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে। এমনকি এদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে নারী।
সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি’র প্রশিক্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কারাতে স্টাইল শোতোকান। স্টুডেন্ট ও পেশাদার উভয়ের জন্য ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা। মাসিক ফি স্টুডেন্টদের জন্য ৩ হাজার টাকা, আর পেশাদারদের জন্য ৪ হাজার টাকা।
Sobhan Karate Academy-এর ৯ মাসব্যাপি বিশেষ আত্মরক্ষার কোর্স রয়েছে। এর জন্য ভর্তি ফিসহ পুরো খরচ ৪০ হাজার টাকা। এখানে প্রথম মাসে স্টুডেন্টদেরকে ১০ হাজার টাকা এবং পেশাদারদেরকে ১১ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়।
ঠিকানা: রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার, হাউজ নং- ৫১০, রোড ৭, ধানমন্ডি
ওয়েবসাইট লিঙ্কঃ https://www.sobhankarateacademy.com/
আরো পড়ুন: ঘরে রান্নার কাজে নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের উপায়
মার্শাল আর্ট বিডি (Martial Art BD)
আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত ও দক্ষ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এই প্রতিষ্ঠান। টিমের প্রধান ৪র্থ ড্যান সেন্সি নাজমুন সাহাদাৎ। তিনি জাতীয় কারাতে বিচারক ও রেফারি এবং বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক।
Martial Art BD-তে সাধারণ মার্শাল আর্টসহ বডি বিল্ডিংও শেখানো হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা মল্যযুদ্ধের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে নিজেদের স্বাস্থ্যকে সমুন্নত রাখার কৌশলও রপ্ত করতে পারে।
কোর্সের শিডিউল ও ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত আপডেট জানা যাবে তাদের ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://martialartbd.com/
ঠিকানা: ১৫/জি জিগাতলা, ধানমন্ডি,(সুন্দরবন কুরিয়ার বিল্ডিং)। এছাড়াও লালমাটিয়া ও শনির আখড়াতেও তাদের শাখা রয়েছে।
আরো পড়ুন: শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
হোর্ড এমএমএ এ্যান্ড মার্শাল আর্ট্স অ্যাকাডেমি (HORDE MMA & Martial Arts Academy)
৪র্থ ড্যান মার্শাল আর্টিস্ট সেন্সি কিম ইয়ানেজ প্রতিষ্ঠা করেন হোর্ড এমএমএ (পূর্ণরূপ মিক্স্ড মার্শাল আর্ট) এ্যান্ড মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি। বাংলাদেশে এর শাখা রয়েছে ঢাকার উত্তরা ও বনানীতে।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষত্ব হলো কারাতে ও কিকবক্সিং-এর যুগান্তকারী সমন্বয়। প্রতিপক্ষকে কাবু করার বিশ্বখ্যাত গ্রাউন্ড ফাইটিং কৌশল নো-জি সাবমিশন গ্র্যাপলিং এখানে শেখানো হয়।
HORDE MMA & Martial Arts Academy’র ক্লাস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। কোর্স ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে তাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে।
লিঙ্ক: https://www.facebook.com/HordeMMA/
প্রধান শাখার ঠিকানা: বাড়ি-৩৪, সোনারগঞ্জ জনপথ, সেক্টর-১১, উত্তরা, (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে)
আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ পুলিশ কুকুরের প্রজাতি
মার্শাল আর্ট্স স্টার্স অ্যাকাডেমি (Martial Arts Stars Academy)
জুডো ও কারাতে কেন্দ্রিক এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯২ সাল। এর কারিকুলামে আরও অতিরিক্ত সংযোজন হিসেবে রয়েছে জু-জিৎসু এবং প্রতিরক্ষামূলক নানা অস্ত্রের ব্যবহার।
Martial Arts Stars Academy-এর প্রধান কোচ শমসের আলম একজন জাতীয় রেফারি। বাংলাদেশ জুডো ও কারাতে উভয় ফেডারেশনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সাধারণত দুটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে- একটি শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে, আরেকটি বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে।
ঠিকানা: বাড়ি-১৩ রোড-১৪ ব্লক-ডি সেকশন-৬ মিরপুর। অনুশীলনের স্থান: শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর
কোর্স ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
পেজের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/p/Martial-Arts-Stars-Academy-100062993752856/
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
জ্যাকি মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি (Jacky Martial Art Academy)
১৯৯০ সালে গঠিত হওয়া পুরনো এই অ্যাকাডেমিটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল উদ্দিন জ্যাকি। কোরিয়ায় স্বর্ণপদক জয়ী এবং জাপানে কারাতের উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্যাকি ৭ম ড্যানের একজন মার্শাল আর্টিস্ট। Jacky Martial Art Academy-এর প্রধান প্রশিক্ষক তিনি নিজে।
এখানে দীর্ঘ দুই বছরব্যাপি ব্ল্যাক বেল্ট কোর্স করানো হয়। এই কোর্সে রয়েছে কারাতে, কুংফু, জুডো, তাইকোয়ান্দো, চেইন স্টিক এবং লং স্টিক। কোর্স ফি প্রতি মাসে এক হাজার টাকা।
শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যাচ রয়েছে।
ঠিকানা: চন্দন কোঠা সেন্টার, শহীদ ফারুক সড়ক, নবী নগর, পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
যোগাযোগের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/JackyMartialArtAkademy
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো (Bangladesh Wadokai Karate Do)
দেশের স্বনামধন্য কারাতে স্কুল বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সেন্সি আব্দুল শুক্কুর আলী সিকদার নিজে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
গুলিস্তানে ১টি এবং রামপুরা ও বনশ্রী জুড়ে বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে Bangladesh Wadokai Karate Do-এর। গুলিস্তানের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে প্রশিক্ষণ চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। বনশ্রী-রামপুরার শাখাগুলোতে ক্লাস হয় সাধারণত বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। ভর্তি ও কোর্স ফিসহ কারিকুলাম সংক্রান্ত বিশদ তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ফেসবুক লিঙ্ক: https://www.facebook.com/bangladeshwadokaikaratedo
সশরীরে যোগাযোগের ঠিকানা: ৩৭৭/১, ইস্ট রামপুরা, ডি.আই.টি রোড, রামপুরা।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রয়েল তায়কোয়ান্দো ডোজ্যাং বাংলাদেশ (Royal Taekwondo Dojang Bangladesh)
বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত কোরিয়ান সেল্ফ-ডিফেন্স স্টাইল চাংমু কোয়ান তায়কোয়ান্দো। সারা পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ। তারই বাংলাদেশ প্রতিনিধি হচ্ছে Royal Taekwondo Dojang Bangladesh।
এখানে সপ্তাহের পাঁচ দিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রশিক্ষণ পেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ভর্তি ও কোর্স সংক্রান্ত যে কোনও তথ্যের জন্য তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করা যাবে।
পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/royaltkdbangladesh
ঠিকানা: হাউজ নং- ৭৭/বি, ৭এ ধানমন্ডি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
শোতোকান কারাতে বাংলাদেশ (Shotokan Karate Bangladesh)
আত্মরক্ষার বিশ্ব বিখ্যাত স্টাইলগুলোর মধ্যে জাপানের শোতোকান অন্যতম। বাংলাদেশের কারাতে ক্লাবগুলোতেও রয়েছে এর ব্যাপক চর্চা। জাতীয় কারাতে ফেডারেশন কর্তৃক অনুমোদিত তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান এই Shotokan Karate Bangladesh।
এখানে শুক্র, শনি এবং সোম- এই তিন দিন অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ ক্লাস। সকালের ব্যাচ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, আর বিকেলের ব্যাচ বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে প্রয়োজনীয় খরচসহ যাবতীয় তথ্যাবলি পাওয়া যাবে তাদের ফেসবুক পেজে।
লিঙ্ক: https://www.facebook.com/shotokankaratebangladesh
ঠিকানা: ৮/সি, পশ্চিম চৌধুরী পাড়া, ঢাকা।
আরো পড়ুন:
শেষাংশ
নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখার জন্য ঢাকাস্থ এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তাদের নিজস্ব স্টাইল অনুসরণ করে।
তন্মধ্যে কেও ফাইট স্টুডিও, সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি, বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো ও শোতোকান কারাতে বাংলাদেশ কারাতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। চাইনিজ কুংফু ও উশু স্কুল তাদের ঐতিহ্যবাহী উশু এবং রয়েল তায়কোয়ান্দো ডোজ্যাং বাংলাদেশ স্বতন্ত্র তায়কোয়ান্দোর জন্য সুপরিচিত। কারাতের সাথে কিকবক্সিং-এর সমন্বয় ঘটিয়েছে হোর্ড এমএমএ এ্যান্ড মার্শাল আর্ট্স অ্যাকাডেমি। আর মার্শাল আর্টস স্টার্স অ্যাকাডেমিতে রয়েছে জুডো-কারাতের সংমিশ্রণ। তবে সবগুলোরই পরিমিত সন্নিবেশ মিলবে জ্যাকি মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি’তে। অপরদিকে মার্শাল আর্ট বিডি’তে রয়েছে আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করার পাশাপশি বডি বিল্ডিং-এর সুযোগ।
উপরন্তু, এই সবগুলো প্রশিক্ষণই দেহের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার বিকাশেও সহায়ক।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
৩২ দিন আগে
রাজশাহীতে ‘৫ কোটি টাকার’ হেরোইনসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পাঁচ কেজি হেরোইনসহ দুই নারী মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সুলতানগঞ্জ গাঙোবাড়ি রোডপাড়া জামে মসজিদ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন— ওই এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী নাজমা বেগম ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশা গ্রামের মৃত আলমের স্ত্রী তাহমিনা বেগম মিনু।
পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার থেকে হেরোইন নিতে গোদাগাড়ী এসেছিলেন তাহমিনা। নাজমা তার কাছে হেরোইন হস্তান্তর করছিলেন। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সীমানাপ্রাচীর ধসে ২ শ্রমিক নিহত
জব্দ করা ওই মাদকের মূল্য পাঁচ কোটি টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। এরপর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
৩২ দিন আগে
নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন করবে ছাত্রদল
ধর্ষণ, অনলাইনে হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন করবে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি এই ধরনের অপরাধের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপক ঘাটতির প্রতিবাদ জানানো।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সেই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় মাছ চুরি: ছাত্রদলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
এতে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও অনলাইনে হয়রানির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কর্মসূচি সফল করার জন্য দলের সকল সদস্য, নেতা-কর্মীকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
৩৮ দিন আগে
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের তরুণী ও নারীরা তাদের চারপাশের মানুষদের কাছ থেকে ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। প্রত্যেক নারীকেও পুরুষের সমান মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুযোগ পাওয়া উচিত।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অসাধারণ ব্যক্তি হলেন তার মা, স্ত্রী এবং কন্যা।
তারেক রহমান ফেসবুক পেজে স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবিও শেয়ার করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সুযোগ, সাফল্য এবং সুখ চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেরই একই অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারেক রহমান বলেন, 'আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মতো আমাদেরও উচিত একটি ন্যায়পরায়ণ, সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, যেখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মেয়ের ছেলেদের সমান সুযোগ থাকা উচিত এবং তাদের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত। হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত এবং নির্ভয়ে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশের সুযোগ নেওয়া উচিত।
তারেক বলেন, বিএনপির নীতি প্রণয়নে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজে নারীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতির দেয়। যেখানে দলের 'ফ্যামিলি কার্ড' কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষার জন্য একাডেমিক ও বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপসংহারে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
৪০ দিন আগে
নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
দেশে নারীদের হেনস্থা ও নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এক বিবৃতিতে নানা ধরনের হয়রানিসহ নারীর প্রতি সহিংসতায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দাজ্ঞাপন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের ন্যায় বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী, ‘শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের হেনস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
‘আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত ও বেপরোয়া হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান।।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাস্তাঘাটে ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এই সব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।’
এই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক বলেন, ‘নারীদের সম্মান রক্ষা ও নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা নারীদের সংবিধান-স্বীকৃত অধিকার। নারী নির্যাতনসহ দেশের সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করছি এবং একই সঙ্গে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
৪০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে এক নারীকে হত্যা করে গুম করার চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান মিজি নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এর রায় দেন।
এ সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আসামি হাবিবুর রহমান মিজি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মামলার ভিকটিম সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি একজন অবিবাহিতা নারী ছিলেন। তার মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আসামি হাবিবুর রহমান মিজি লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকে।
সেখানে এজন নারীর লাশ গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ডলির ভাই সেখানে গিয়ে তার বোনের ছবির সঙ্গে লাশের ছবির মিল পায় বলে জানতে পারে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
আসামি হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ভেসে আসা লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দিয়েছে।’
পরে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ পুলিশ হাবিবুরের স্বয়ং কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ও হাবিবুরকে আটক করে। এ সময় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মৃত নারীর ভাই টঙ্গীবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ছেলে নূর মোহাম্মদ দপ্তরি বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমান মিজিকে আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাবিবুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়ার্দী।
৪২ দিন আগে
ফরিদপুরে ঘরে লাগা আগুনে নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরের মধুখালীতে অগ্নিকাণ্ডে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দী পূর্বপাড়া রফিক মিয়ার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
আগুনে পুড়ে নিহত ছমিরন বেগম এসময় নামাজরত অবস্থায় ছিলেন।
পরে ৯৯৯ ফোন পেয়ে মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলাকাবাসীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ছমিরন বেগম নামাজরত ছিলেন। তিনি ছাড়া আর কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘরে আটকা পড়ে ছমিরন বেগম নামের ওই বৃদ্ধা আগুনে পুড়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা অবস্থায় ছমিরন বেগম নামে এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আমরা তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
৪২ দিন আগে