সারাদেশ
খুলনা বিভাগীয় বইমেলা শুরু ২৬ নভেম্বর
আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এবং খুলনা কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, ‘জ্ঞানের বাহক হলো বই। তাই জ্ঞানভিত্তিক জাতি গড়তে নিয়মিত পাঠাভ্যাসের বিকল্প নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ই-বুকের পাশাপাশি কাগজে ছাপা বইয়ের প্রতিও আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের মাঝে পাঠাভ্যাস ফিরিয়ে আনতে বিভাগীয় বইমেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন মেলা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলার ৮০টি স্টলের মধ্যে ৬০টিতে ঢাকা থেকে আসা প্রকাশনীগুলোর বই প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। এছাড়া ১০টি স্টল খুলনা বিভাগের প্রকাশকদের জন্য, চারটি স্টল বিভিন্ন সরকারি অফিসের জন্য এবং দুইটি স্টল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য মিডিয়া কর্নার, কবি-সাহিত্যিকদের জন্য লেখক কুঞ্জ এবং খাবারের স্টল থাকবে। মেলা চলাকালে মেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত মঞ্চে আলোচনা সভা, সেমিনার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিশু-কিশোরদের জন্য কুইজসহ অন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসেইন শওকত, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান ও উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমানসহ খুলনায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় নিয়ে এসে বিশেষ কৌশলে ধানগাছ থেকে ধান গুলোকে আলাদা করতে এবং গৃহিনীরা সেই ধান ঝেড়ে পরিষ্কার করে গোলায় ভরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বুধবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার মোট জমির শতকরা ২৫ ভাগ খেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। জেলার ১১টি উপজেলায় আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে- নওগাঁ সদরে ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর, রানীনগরে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর, আত্রাইয়ে উপজেলায় ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর, বদলগাছিতে ১৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২৮ হাজার ৯২৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর, ধামইরহাটে ২১ হাজার ১০ হেক্টর, সাপাহারে ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর, পোরশায় ১৫ হাজার ২৯০ হেক্টর, মান্দায় ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।
জেলার কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক চলতি মৌসুমে স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৩৪, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৫২, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯০, ব্রি-ধান-৯৩, ব্রি-ধান-৯৪, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে বিন্নাফুল, বিনা ধান-১৭ এবং চিনি আতপ জাতের ধান চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, উল্লিখিত পরিমাণ জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। চালের আকারে যার পরিমাণ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭০ মেট্রিকটন।
আরও পড়ুন: ‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
১ ঘণ্টা আগে
ভারতে ২ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ২৪ বাংলাদেশি
ভারতে ২ বছর কারাভোগের পর ২৪ জন বাংলাদেশি নারী ও পুরুষকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গ্রহণ করেছে বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশন।
ফেরত আসাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ১৩ জন পুরুশ রয়েছে।
পাচারের শিকার নারী পুরুষরা নড়াইল, চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
ফেরত আসাদের মধ্যে মাহানা খাতুন জানান, তারা ভালো চাকরির আশায় গত আড়াই বছর আগে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে ভারতে যান। পরে সে দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অপরাধে কলকাতা পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখান থেকে ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’ নামের ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূইয়া জানান, ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করেছিল তাদের। বেনাপোল উপজেলা প্রশাসন ও ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে বেনাপোল পোর্ট থ্যনায় হস্থান্তর করা হয়েছে।
রাইটস যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা পরে তাদের গ্রহণ করে সেল্টার হোমে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রাইটস যশোরের মাঠ কর্মকর্তা তৌফিকজ্জজামান।
আরও পড়ুন: পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২ বাংলাদেশি আটক
২৬ মিনিট আগে
ফরিদপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
ফরিদপুরে শহরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আসামির স্বজনদের হামলায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার এবং সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) কর্ণ কুমার হালদার আহত হন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোড এলাকায় আসামি রাব্বী হাসান বাপীর (৩০) বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। রাব্বী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলার আসামি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে আসামি রাব্বী হাসানকে ধরতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার তিন পুলিশ সদস্যের একটি দল গোয়ালচামট মহল্লা এলাকার খোদাবক্স রোডের বাসায় যায়।
খোদারোডস্থ রাব্বীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। নিয়ে আসার সময় পুলিশ সদস্যরা প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
এ সময় রাব্বীকে ছিনিয়ে নিতে রাব্বীর প্রতিবেশি শেখ রুস্তম (৩০) এসআই ফাহিমের বাম চোখে ঘুষি মারে। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় আসামি রাব্বি কর্ণকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি সামান্ন আহত হন। এসআই ফাহিম ও কর্ণকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া যে ব্যক্তি (শেখ রুস্তম) এসআই ফাহিমকে ঘুষি মেরেছে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে রাব্বি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর নদীতে মিলল ১ মণ ওজনের কচ্ছপ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ১ মণ ওজনের একটি কচ্ছপ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতার চর নামক স্থানে বজলু হওলাদার নামের এক জেলের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
বজলু জানান, বিকাল ৪টায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় পাতার চর এলাকায় জাল বাইতে যায় তিনি। জাল টানার শেষপর্যায় বিশাল একটি কচ্ছপ উঠে আসে। কচ্ছপটি তীরে নিয়ে এলে সেটিকে দেখতে শত শত লোক ভিড় করে। পরে স্থানীয়রা কচ্ছপটি আবার নদীতে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহ আলম অপু বলেন, ‘আগে কখনও এত বড় কচ্ছপ দেখিনি, আজ দেখলাম।’
১২ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নগর ভবন ঘেরাও
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ঘেরাও করেছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি জানান।
তারা বলেন, আমাদের বেতন ৮ হাজার টাকা। তার মধ্যে গ্যাস ও পানির বিলের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়ে মাস শেষে আমাদের ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে বাজার করব নাকি ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করাব? তাই আমাদের দাবি, বেতন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
এ সময় বেতন সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহমেদ বলেন, ‘বেতন বাড়ানোর দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগর ভবনে জড়ো হয়েছে।’
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ রয়েছে বলে জানান ওসি নাসির আহমেদ।
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় ঢাকাগামী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকামুখী আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হলেও ক্রসিংয়ের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে দুভোর্গের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
মালবাহী ট্রেনটিতে কর্মরত পরিচালক ইমতিয়াজ রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী একটি কন্টেইনার ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন অতিক্রম করে কিছুদূর যাওয়ার পর বড়হরণ এলাকায় একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকামুখী আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন আখাউড়া থেকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। উদ্ধার শেষে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
১৬ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহ্ফুজ হোসেন মোল্লা নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহফুজ ওই এলাকার লিয়াকত হোসেন মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, মাহফুজ বুধবার সকালে মোল্লার হাট বাজার এলাকার আউয়াল মোল্লার একটি পুকুরে বৈদ্যুতিক মোটর লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
১৯ ঘণ্টা আগে
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) উপজেলার ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের বৈঠাখালী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার গলায় ও হাতে পায়ে শেকল পড়া ছিল।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবল ইসলাম জানান, বুধবার ভোরে গোবিন্দগঞ্জের ঢাকা রংপুর মহাসড়কের বৈঠাখালী নামক স্থানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক্টর তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠিতে সরকারি বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার অশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টির দেয়াল খসে পড়ছে। প্রতিদিন কম বেশি পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বেড়িয়ে গেছে রড। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংস্কার কাজ চলছে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭২ সালে মহারাজগঞ্চ হাইস্কুল নামে যাত্রা করা এ বিদ্যাপীঠ ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে ১৯০৯ সালে জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে ১৩ একর জমিতে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে প্রভাভী ও দিবা এই দুই শিফটে এক হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়টির ভেতর কিংবা বাহিরের অবকাঠামো দেখে যে কেউ বলবে এটা কোনোভাবেই স্কুলের পরিবেশ হতে পারে না। ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে পুরো ভবন থেকে। এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে চলছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা।
১৯০৯ সালের ব্রিটিশ সরকার এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটির দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৭২ সালে। ৫০ বছরের পুরাতন এ ভবনটির সবগুলো ক্লাসরুম এখন জরাজীর্ণ হয়ে চরম বিপজ্জনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশও এখানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন দুঃশ্চিন্তায়। শিক্ষক-কর্মচারীদের মুখেও একই শঙ্কার কথা।
এদিকে ঝালকাঠি শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্প্রতি সংস্কার কাজ শুরু করলেও তা নামমাত্র, আর কাজও চলছে ধীর গতিতে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা নিয়ে বার বার শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও স্থায়ী কোনো প্রতিকার মিলছে না।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. খাইরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় ভবনটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে, দ্রুতই শেষ হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে