সারাদেশ
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের চরপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর গ্যাসের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল আনলোড করার সময় এক শ্রমিকের সিগারেটের আগুন থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
আহতরা হলেন— দোকান মালিক মাহবুবুর রহমান (৪৫), শ্রমিক মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালে (৩৩)।
ফায়ার সার্ভিস চন্দনাইশ স্টেশনের কর্মকর্তা সাবের হোসেন জানান, আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তারা অগ্নিদগ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর আগে, এলাকাবাসী আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আশিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ কয়েকজনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ৫ থেকে ৬ জনকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে কমিটির নেতাকর্মীরা বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন এবং অফিসের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।
এ সময় নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। এই ঘেরাও কর্মসূচি দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্দলোনকারীরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে কমিটির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনও চলবে।
কমিটির সদস্যসচিব ও জামায়েতে ইসলামী বাংলাদশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা হরতাল বাতিল করেছি, যাতে দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না হয়। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশাবাদী। চারটি আসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনকে কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী।
তা সত্ত্বেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যা জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, নতুন আসনবিন্যাস হলো— বাগেরহাট-১: (বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে আসনবিন্যাস ছিল— বাগেরহাট-১: (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট), বাগেরহাট-২: (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩: (রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৪: (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, আহত অনেকে
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। বিক্ষোভ রুপ নিয়েছে সহিংসতায়। থানা, উপজেলা পরিষদ, হাইওয়ে থানা, পৌরসভায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেওয়া হয়েছে মোটরসাইকেলে। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা থেকে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। পরে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বরে অবস্থান নেন।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে গোলচত্বরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সেখানে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে পুলিশকে বিক্ষুব্ধদের কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোকারীদের সঙ্গে দুপুর ১ টার দিকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার জনতা লাঠিশোটা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিয়ে যোগ দেন। পরক্ষণেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আর্মড পুলিশের সদস্য দৌড়ে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে আশ্রয় নেন। উত্তেজিত জনতার ইটপাটকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। পরে কিছু সময় ঘিরে রাখেন উত্তেজিত জনতা। একপর্যায়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ, সমন্বয়ক আটক
এরপর সেখান থেকে বিক্ষুব্ধরা থানার দিকে চলে যান। থানায় থাকা গাড়ি ও থানা ভাংচুর করেন। ভেতরে আটকা পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন সেখানে থাকা মোটরসাইকেলে। পরে হাইওয়ে অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাইটিভির ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি সরোয়ার হোসেন।
এদিন সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে অবস্থান নিলে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ করেই সেখানে জড়ো হোন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ‘আমরা বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করছি এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বলা হয়েছে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে। আমরা দ্রুত প্রতিবেদন দিলে আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।’
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধরা।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করা হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এরপর শনিবার তিন দিনের সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ঘোষণাকারী সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধে গতকাল রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ।
২ দিন আগে
ফুঁসছে তিস্তা, উত্তরাঞ্চলের কৃষকের মনে ফের বন্যা আতঙ্ক
উত্তরাঞ্চলে আবারও ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ডালিয়া পয়েন্টে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ১৩ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় যেকোনো সময় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়বে। এতে লালমনিরহাটসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
৩ দিন আগে
আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ, সমন্বয়ক আটক
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহালের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তৃতীয় দফায় টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে রেলপথ অবরোধের সময় ট্রেন আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া, চলমান এ আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী দুটি মহাসড়ক ও রেলপথের অন্তত ১০টি এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
পরে সকাল ১০ টার দিকে পুখুরিয়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা সড়কে গাছের গুড়ি, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এদিন সকাল ৯ টার দিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর-ঢাকা রেলপথের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি রেল ক্রসিংয়ে নকশীকাঁথা ট্রেন আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক যাত্রী।
ঢাকায় মেয়ের বাসায় পেঁয়াজ নিয়ে ট্রেনে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাচ্চু মাতুব্বর (৫২) নামে ব্যক্তি। মাথায় পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে তাকে পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাঁটতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: সংসদীয় আসন বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে দুই মহাসড়ক অবরোধ
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাস না পাইয়্যা ট্রেনে করে ঢাকায় মাইয়্যাটার বাসায় যাবার গেছিলাম। ওই জায়গ্যা (হামিরদি রেলক্রসিং) যাওয়ার পর রাস্তার ওপর দেহি আগুন জ্বলতেছে, অনেক মানুষ ট্রেনের সামনে দাড়ায় পড়ছে। তহন ট্রেন দাড়ায় পড়ে, আমাদের নামায় দিছে।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা রেলস্টেশন কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান বলেন, রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল নকশিকাঁথা। ট্রেনটি আটকে দেওয়ায় ভাঙ্গা জংশনে ঢাকা থেকে আসা রাজবাড়ীগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে আছে। তবে খুলনার ট্রেনটি (জাহানাবাদ এক্সপ্রেস) অবরোধ করার আগেই ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
এদিকে, রংপুরের বাসিন্দা মনির হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তিকে পায়ে হেঁটে আসতে দেখা যায়। মাদারীপুরে আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রংপুরে যাব, ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে আসলাম, কোনো গাড়ি পেলাম না। মানুষরে কষ্ট দিয়ে উনাদের কিসের আন্দোলন, আমি জানি না।’
এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে ‘আলগী ও হামিরদি ইউনিয়ন এবং ভাঙ্গা উপজেলার সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’ —এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনদিনের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দেন আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিয়া।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে ইসি
ঘোষণার পরপরই ওই রাতে তাকে নিজ বাসা থেকে আটক করেছে ডিবি। তিনি এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, রাতে ডিবি পুলিশ সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে ফরিদপুরে নিয়ে গেছে। থানায় এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধরা।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করা হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এরপর গতকাল তৃতীয় দফায় আবার তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় এবং যান চলাচলে স্বাভাবিককরণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এর পাশাপাশি আমরা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।
৩ দিন আগে
শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। তবে শুধুমাত্র একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প উপায়ে ভ্রমণের চেষ্টা করলেও পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস স্টাফদের বেতন অস্বাভাবিকভাবে কম। বর্তমানে ন্যাশনাল ট্রাভেলস চালকদের প্রতি ট্রিপে মাত্র ১১০০ টাকা, সুপারভাইজারদের ৫০০ টাকা এবং সহকারিদের ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়িয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন।
বেতন না বাড়ানো পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা রুটে অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমাদের একই বেতন দেওয়া হচ্ছে। গত ২৩ আগস্ট আমরা শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ করেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার অন্য সব বাস শ্রমিকরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সব বাস বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হয়।’
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। মালিকরা ১০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমরা শ্রমিকরা খুব দ্রুত মালিকদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় জিহাদ (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মুজিবনগর-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের কাউন্সিল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (সোমবার) ভোর ৫টার দিকে জিহাদ মারা যায়।
নিহত জিহাদ পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল (রোববার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবনগর-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের কাউন্সিল মোড় এলাকায় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল মোড় ঘোরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে জিহাদ ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (সোমবার) ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
৯ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্বামীর পর না ফেরার দেশে দগ্ধ স্ত্রী
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বিসিক শিল্পাঞ্চলে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ বাচা চৌধুরী (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে একই ঘটনায় তার স্বামী মানব চৌধুরীও মারা যান। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুইজনে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাচা চৌধুরীর মারা যান।
তিনি সুনামগঞ্জ জেলার সুলা থানার বলরামপুর গ্রামের ননীগোপাল মজুমদারের মেয়ে। পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর বিসিক শিল্পাঞ্চলের তিন নম্বর গলির একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন বাচা- মানব দম্পতি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বাচা চৌধুরীর শরীরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। রোববার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গতকাল তার স্বামী মানব চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
তিনি আরও জানান, দম্পতির তিন মেয়ে— মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)—এই বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে মুন্নির শরীরের ২৮ শতাংশ, তিন্নির ২২ শতাংশ এবং ছোট মেয়ে মৌরির ৩৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাসায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
৯ দিন আগে
ভাড়া বাসা থেকে মিলল কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিয়াজুরি খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—তাহমিনা বেগম ফাতিমা (৫০) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের ছেলে তাজুল ইসলাম ফয়সল জানান, গতকাল (রবিবার) রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে আলাদা দুটি কক্ষে মা ও বোনের মরদেহ দেখতে পান। তাদের মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ফয়সলের ভাষ্যে, পারিবারিক শত্রুতা কিংবা এলাকার কারো সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল না।
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার বছর আগে কুমিল্লা আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা বেগম, মেয়ে সুমাইয়া ও আরও দুই ছেলেসহ পরিবারটি ওই বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কীভাবে হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
৯ দিন আগে
মেহেরপুরে হেরোইনসহ সাবেক সেনাসদস্য আটক
মেহেরপুরে সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ৬০ গ্রাম হেরোইনসহ চাঁদ আলী নামে এক সাবেক সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৬০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
আটক চাঁদ আলী ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রহমত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ৪২ লাখ টাকার ভারতীয় চকলেট, মদ ও গরু জব্দ
তিনি জানান, সাবেক সেনাসদস্য চাঁদ আলী নিজ বাড়িতে হেরোইন মজুত করে তা বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা তার বাড়িতে যৌথ অভিযান চালান। এ সময় তার বসতবাড়ি থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৬০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
৯ দিন আগে