বাংলাদেশ
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৮
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৯ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৩৯ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ অক্টবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ৮০৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯২৭
৫ ঘন্টা আগে
প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষার সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় (অংশ)। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নব-যোগদানকৃত প্রধান শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব-যোগদানকৃত প্রধান শিক্ষকদের (নন-ক্যাডার) ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৪ এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ। সুশিক্ষিত ও সুস্বাস্থ্যের মানুষ দেশ ও জাতির সম্পদ। দেশকে উন্নত করতে হলে মানুষকে উন্নত করতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্যের উন্নয়নও করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুটি বিষয়ই সার্বিক উন্নতিতে প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ই একটি শিশুকে শিক্ষা জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। সে জায়গাটিতে আমাদের জোর দিতে হবে।
দেশের ৪৮টি জেলা থেকে ৮০ জন প্রধান শিক্ষক ১৫ দিনের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন। কোর্সটি ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৭ অক্টোবর শেষ হয়। কোর্সে অংশ নেওয়া প্রধান শিক্ষকরা সকলেই ৪০তম বিসিএস’র মাধ্যমে নন-ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত।
এর আগে উপদেষ্টা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে উপদেষ্টা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার মো. আজিজুল ইসলাম, নেপের পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা, কোর্স পরিচালক আবু সালেহ, আহসান ইবনে মাসুদ, প্রশিক্ষণার্থী সুমাইয়া আক্তার ও ছোটন চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
৫ ঘন্টা আগে
দেশে আরও ২ জনের করোনা শনাক্ত
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে ২ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ১২৯ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
৫ ঘন্টা আগে
সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং দ্বীপে রাত্রীযাপন নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনের পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটাকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রবাল দ্বীপ আমাদের দেশে একটিই আছে, তাই একে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে আগের নির্দেশিকাগুলো মানতে হবে। এছাড়া, পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাই। দ্বীপটিকে একটি কোলাহলমুক্ত এলাকা হিসেবে দেখার অভিপ্রায় ও ব্যক্ত করেন এই উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
৪ ঘন্টা আগে
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস
গত জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ে এই খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা আগস্টে কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক অতিক্রম করে। ওই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা জুনে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
একইভাবে জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
৪ ঘন্টা আগে
এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার ইউএনবিকে ফোনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি-সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিল
তিনি বলেন, ওই দিন সকাল ১১টায় স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলেও জানান তিনি।’
তিনি বলেন, এবার স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরাই ফল প্রকাশ করবেন।
চলতি বছরের ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৪ আগস্ট এইচএসসির বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন সচিবালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
৩ ঘন্টা আগে
কর্ণফুলীর ওপর ১১৫৬০ কোটি টাকার রেল-সড়ক সেতুর অনুমোদন একনেকে
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কর্ণফুলী নদীর ওপর ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রেল-সড়ক সেতু নির্মাণের উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
কালুরঘাট এলাকায় অবস্থিত সেতুটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সহজতর করবে এবং এই অঞ্চলের যানবাহন ও রেল যোগাযোগ উভয়ই উন্নত করবে।
সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় অনুমোদিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। এটির সম্মিলিতভাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
পুরনো কালুরঘাট সেতুর অতি প্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন
সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পুরাতন কালুরঘাট সেতুটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বর্তমান সেতুটি খারাপ অবস্থায় রয়েছে, ট্রেনের গতি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন এই সেতু কেবল স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাই উন্নত করবে না, বরং কক্সবাজারকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন আরও জোর দিয়েছিলেন যে নতুন সেতুটি মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পারিপার্শ্বিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে জোগান দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, নতুন সেতুটি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সঙ্গে একটি দক্ষ সংযোগ তৈরি করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে, যা চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার সেতু, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ এবং ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হবে।
নতুন সেতুটি চট্টগ্রামের শিল্পগুলোকেও উপকৃত করবে। যা দেশের ৭০ শতাংশ আমদানি ও রপ্তানি পরিচালনা করে। উন্নত পরিবহন সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে সমর্থন করবে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প
রেল-সড়ক সেতু ছাড়াও ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৭৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেন আপগ্রেডেশন) এর দ্বিতীয় সংশোধনী প্রকল্প এবং ৫ হাজার ৯০১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইইউটিডিপি)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৩ ঘন্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ৩৯২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৬, আহত ৮১৩
সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ৩৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ৮১৩ জন।
হতাহতের ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৪ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন প্রাণ হারান। যা মোট নিহতের ৪১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারী ৬১ জন ও শিশু ৫৩ জন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় ৯৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৪ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এই সময়ে ৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, ৪ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আর ১৭টি রেল দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র-
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়-
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৭৯ জন (৪২ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৫ জন (৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২২ জন (৫ দশমিক ১৬ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২৪ জন (৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৬৩ জন (১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু) ৬ জন (১ দশমিক ৪০ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (২ দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন-
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি (৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৪টি (৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি (১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৪টি (৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এছাড়া ৫টি (১ দশমিক ২৭ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন-
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮২টি (২০ দশমিক ৯১ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৯টি (৪৩ দশমিক ১১ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৯৪টি (২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৪১টি (১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি (১ দশমিক ৫৩ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন-
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক- তেলবাহী লরি-রোড রোলার ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পাজেরো ৬ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-মাহিন্দ্র-হ্যালোবাইক) ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান ২ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা-
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬৩২টি। এদের মধ্যে- বাস ৯৮, ট্রাক ১০৬, কাভার্ডভ্যান ১৮, পিকআপ ২১, ট্রাক্টর ১১, ট্রলি ৪, লরি ১০, ড্রাম ট্রাক ৭, তেলবাহী লরি ২, রোড রোলার ১, মাইক্রোবাস।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
মে মাসে ৪৯১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
৩ ঘন্টা আগে
দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হচ্ছে। সংস্কারের কার্যক্রম চলমান আছে। যতটুকু সময় পাব, শুধু এই সংস্কারটাই করে দিয়ে যাব।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজউক অডিটরিয়ামে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কারে রাজউকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
আদিলুর রহমান খান বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোতে এখনও অনেক অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা ও অসংখ্য কোটা বিদ্যমান রয়েছে।
একেকজন এসে বলছে, এই কোটার কারণে আমরা এতগুলো পদ নেব, অন্যপক্ষ বলছে এই কোটায় আমার আরও বেশি লাগবে।
আমি বলি যে, আর কেন এসব কোটা লাগবে? এগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন না কেন? সমস্ত কোটা উঠিয়ে দিয়ে ঢাকায় লটারির মাধ্যমে কেন জমি দেওয়া হয় না? এই সুবিধাগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, যেখানেই অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা ও কোটা থাকবে, সেখানেই তরুণদের এগিয়ে আসার পথ তৈরি করে দিতে হবে। আমরা তো এই দরজাটা বন্ধ করে রাখি, যেন তারা আসতে না পারে। এই দরজাগুলো খুলে দিতে হবে। তাহলেই একটি কাঙিক্ষত সংস্কার দেশের মানুষ পাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে হাজার হাজার মানবাধিকার কর্মী তৈরি হয়েছে, যারা দেশকে বদলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। আমাদেরকে পাশে দাঁড়ানো দরকার। তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সময়টাকে বদলে দেওয়া দরকার।
আদিলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সংগঠন আছে, নাগরিকদের প্রতিষ্ঠান এবং প্রফেশনাল বডি আছে, সেগুলোকেও নগর উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা দরকার।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা ঢাকাকেও বদলে দিতে চাই। কিন্তু যেদিকেই তাকাবেন, দেখবেন কত নোংরা হয়ে আছে। শহরে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কোনো গাছ নেই। সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঢাকা শহর শুধু কংক্রিটের শহর হয়ে গেছে। এখানে গরিবের আবাসনের ব্যবস্থাটাও নাই। এই শহরটাকে আমরা বদলাতে পারব কিনা, এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ গোয়েন লুইস।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: উপদেষ্টা নাহিদ
এবার শারদীয় দুর্গা পূজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ ঘন্টা আগে
ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাসযোগ্য ঢাকার জন্য শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, এর সঙ্গে সবুজায়ন বাড়াতে হবে। এছাড়া উন্মুক্ত জায়গা, বসার স্থান ও তরুণদের খেলাধুলার সুযোগ থাকতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার জন্য একটি নগর দর্শন তৈরি করা জরুরি। এছাড়া বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে হলে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দরকার।
আরও পড়ুন: সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজউকে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এবারের বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি।’
উপদেষ্টা বলেন, উন্নত ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়তে তরুণদের সম্পৃক্ত করা দরকার। তাদের সৃজনশীলতা নগরকে বাসযোগ্য করতে পারে। এজন্য রাজউকের কর্মকাণ্ডে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় বস্তিবাসী ও নদীভাঙা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের গোয়েন লুইস এবং অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব নায়লা আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বহুমুখীকরণে চামড়া শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
৩ ঘন্টা আগে