বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনায় জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত: খালিদ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য তার জানা নেই।
আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রী নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলমেন্ট নেই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এ সব ছবির কোনো সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- সেটি আমরা জানি না।’
তিনি বলেন, ‘এটা যতটুকু হয়েছে আমাদের ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইউরোপিয়ান নেভাল, ভারতীয় নৌবাহিনী, সোমালিয়ান পুলিশ... আমি সোমালিয়া পান্টল্যান্ড পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইমের যে উইংগুলো রয়েছে, তারা আমাদেরকে খুবই সহায়তা করেছে।’
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ
মুক্তিপণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ বলেন,‘জলদস্যুরা একেবারে সর্বশক্তিমান, ব্যাপারটা তো এমন নয়। তারা ভীষণ চাপের মধ্যে ছিল, সোমালিয়ান পুলিশের বিরাট একটা চাপ ছিল। জলদস্যুদের কারণে একটি দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, এটা তারা (সোমালিয়ান পুলিশ) উপলব্ধি করছে, সেই উপলব্ধি থেকে তারা খুবই সজাগ ছিল এবং জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তারা খুবই তৎপর ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপ ও নেগোসিয়েশনও আছে। তাদেরও (জলদস্যু) জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপার ছিল। চাপটাতো তাদের উপর সার্বক্ষণিকই ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা চরম পর্যায়ে গিয়েছিল, সেই কারণেই তারা সেখান (জাহাজ) থেকে নেমে গেছে। চাপ এত ছিল, তারা যখন জাহাজটা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেখানে ২০ জন ছিল জলদস্যু, গতকালকে তারা যখন জাহাজ ছেড়ে যায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজে অবস্থান নিয়েছিল। মূল ভূখণ্ডে তাদের কী পরিমাণ চাপ ছিল, সেটা বুঝতে হবে। গতকালকে সবাই একসঙ্গে সেখান (জাহাজ) থেকে চলে গেছে। দুই নটিক্যাল মাইলের মধ্যে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছিল। অন্যান্য ফ্লিকগুলো (বিভিন্ন বাহিনী) অবস্থান করছিল যখন তারা চলে যায় সেই মুহূর্তে। তারা বুঝতে পেরেছিল আমাদের জীবন নিরাপদ না।’
আরও পড়ুন: ছিনতাই হওয়া জাহাজের ২৩ নাবিককে চলতি মাসেই উদ্ধার করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সেই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে কথা বলে ফ্লিকগুলোকে একটু দূরে দিয়ে তাদের যেতে সহায়তা করেছে। আমি জানি না ভুল ভূখণ্ডে যাওয়ার পর জলদস্যুদের কি অবস্থা হয়েছে না হয়েছে।’
পুরো বিষয়কে বিশাল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যতগুলো মেইল করেছি সেগুলো এক জায়গায় করলে বড় একটা বাস্কেট ভরে যাবে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের করসপন্ডেন্ট রাখতে হয়েছে। আমরা এত তৎপর এবং এত সিরিয়াস ছিলাম- এটা সবাই উপলব্ধি করেছে।’
ভবিষ্যতে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটতে পারে সেজন্য সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৩১ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা। গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ও নাকিবরা।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন: জাহাজের মালিকপক্ষ
জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্তি পেয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত (১৪ এপ্রিল) পৌনে ৪টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম এর মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদটি পেয়েছি। ২৩ নাবিকসহ আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় আমরা ফেরত পাচ্ছি।’
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় কেএসআরএম এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন: জাহাজের মালিকপক্ষ
জলদস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে মালিকপক্ষের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। তবে তাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের আমরা ফিরিয়ে আনতে পারছি।’
তবে সোমালিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেছে- ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ছাড়া পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ।
এদিকে, জাহাজটি এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত আজ ভোরে গণমাধ্যমকে জানান, জিম্মিমুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পরে জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়।
জাহাজটি ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর নানা পর্যায়ে দর-কষাকষি চলে। চলতি মাসেই নাবিকদের মুক্তি মিলবে বলে আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে সামরিক অভিযান চান না মালিকপক্ষ
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এক প্রবাসী চুরি করলেন আরেক প্রবাসীর মোবাইল-পাসপোর্ট
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রবাসীর মোবাইল ও পাসপোর্ট আরেক প্রবাসী চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রবাসীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (এপিবিএন) টিম। এ সময় চুরি যাওয়া দুটি স্মার্টফোন ও দুটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
অভিযুক্ত প্রবাসী সিলেটের বালাগঞ্জের আব্দুল আহাদ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার বটুলি গ্রামের রসময় চন্দ্র।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে রিয়ালসহ প্রবাসীর ব্যাগ চুরি, আরেক প্রবাসী আটক
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে দুবাই থেকে একটি ফ্লাইট সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এ ঘটনা ঘটে।
এ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন রসময় চন্দ্র ও আব্দুল আহাদ। রসময় পাসপোর্ট কাস্টম স্ক্যানিং মেশিনে তার দুটি স্মার্ট ফোন ও দুটি পাসপোর্ট রাখেন। সে সময় কৌশলে সেগুলো নিয়ে নেন আব্দুল আহাদ।
চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন রসময়।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (এপিবিএন)-৭ এর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্যাম্পের ইন্টেলিজেন্স টিম।
সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় এপিবিএন টিম।
ওই দিন রাত ৮টার দিকে সিলেটের বালাগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আব্দুল আহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক এবং চুরি করা দুটি স্মার্ট ফোন ও দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করে এপিবিএন টিম।
আটকের পর আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে এপিবিএন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
ইসরায়েল থেকে ঢাকায় বিমান প্রসঙ্গে বেবিচকের ব্যাখ্যা
সম্প্রতি ‘ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক জানায়, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এই কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়- শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি বিমান তেল আবিব থেকে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে। কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে বিমানটি।
আরও পড়ুন: আজ আমাদের অত্যন্ত খুশির দিন: বেবিচক
এরপর গত ১১ এপ্রিল রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে অন্য আরেকটি বিমান ঢাকায় অবতরণ করে। কার্গো নিয়ে মধ্য রাত ১২টা ২৯ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে।
বেবিচক জানায়, দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ও ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকায় আসে। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপে যায়।
বেবিচক মনে করে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়- শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচ্য বলে জানিয়ে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে বেবিচক।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুত ঢাবি
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর সূর্যোদয় হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মামের প্রথম দিন উদযাপনে প্রস্তুত দেশবাসী।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বর্ণিল আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর এজন্য রবিবার সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে।
আরও পড়ুন: চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার থিম নির্ধারণ করা হয়েছে 'আমরা তো তিমিরবিনাশী'।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ও শিশু পার্ক সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে জয়নুল গ্যালারিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন দিক নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। চারুকলা অনুষদ থেকে যথাসময়ে শোভাযাত্রা শুরু হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আগামী ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে এবং পহেলা বৈশাখের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শোভাযাত্রা চলাকালীন কাউকে উৎসবের মাস্ক পরতে দেওয়া হবে না। তবে অংশগ্রহণকারীদের হাতে উৎসবের মাস্ক বহন করার অনুমতি দেওয়া হবে।
শোভাযাত্রার সময় কোনো ধরনের বাঁশি বা ভুভুজেলা ব্যবহার না করারও পরামর্শ দেন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ডিএমপির
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ডিএমপির
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ংকর’- বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।’
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব শিগগিরই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এরই মধ্যেই হয়েছে।'
এর আগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই শামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আযোজক কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গাবাসীর ঈদ আনন্দে ভাটা
ঈদের তৃতীয় দিন আজ। এখনো মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ বিরাজ করছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাবাসীর ঈদ আনন্দে বাধ সেধেছে তীব্র গরম।
চুয়াডাঙ্গায় শনিবার বিকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এপ্রিলের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যদিও মাঝে দুদিন তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
টানা এই তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দাবদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।
একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে সব শ্রেণির মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এত তাপ সহ্য করা কঠিন। ঈদে একটু ঘোরাঘুরি করব, এত রোদে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’
একই গ্রামের আকরাম আলী বলেন, ‘ঈদের দুদিন হয়ে গেল। এখন দোকান খুলব, কিন্তু এত তাপে দোকানে বসা অসম্ভব ব্যাপার। শিগগিরই বৃষ্টি হলে আবহাওয়া সহনীয় হতো।’
চুয়াডাঙ্গা শহরে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালান কুদ্দুস মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঈদের ঘোরাঘুরি থাকলেও মানুষজন বাইরে আসছে না। তাই ভাড়াও হচ্ছে না, দুপুর হয়ে গেছে এখনো তেমন ভাড়া হয়নি। ভাড়া পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘এপ্রিলের শুরু থেকেই মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ চলেছে। মাঝে কয়েক দিন আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে আসলেও আবার মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। আজ চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্বাভাসে নেই।’
আরও পড়ুন: ৭ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ
বাংলা বর্ষবরণে প্রস্তুত জাতি
বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম দিন রবিবার দেশজুড়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।
ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ করা হবে।
প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি গান ও নাচে মেতে উঠে সবাই। প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করেছে বর্ষবরণের। রবিবার সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে রাজধানীতে শুরু হবে নতুন বছরের উদযাপন।
দেশের বিভিন্ন শহরে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখে উৎসবের শিকড় বাঙালির অন্তরের গভীরে। শত শত বছর ধরে, বাঙালি এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উদযাপন করে আসছে। ঐতিহ্যগতভাবে, এটি ব্যবসার জন্য নতুন হিসাব শুরুর সময়, যা নতুন বছরে সমৃদ্ধির প্রতীক।
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৪
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন এ সময়ের মধ্যে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৫ জন আক্রান্ত
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী ১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৮২৩ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ১৪৬ জন ও নারী ৬৭৭ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আরও ১৮ জন আক্রান্ত
দেশে আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৯ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ১৬৯ জনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় উদযাপিত হয়েছে পাহাড়িদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি
দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত