বাংলাদেশ
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এর বেশি সক্রিয় সিম আজ থেকেই বন্ধ করে দেবে অপারেটরগুলো।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে বিটিআরসির এই নতুন নির্দেশনা।
সম্প্রতি জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, নভেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
যেসব ব্যবহারকারী নিজেরা অতিরিক্ত সিম বন্ধ করবেন না, তাদের এনআইডিতে নিবন্ধিত গুরুত্বপূর্ণ সিমকার্ডও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এর আগে একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। গত ৩০ জুলাই বিটিআরসি ঘোষণা দেয়, এই সংখ্যা কমিয়ে ১০টিতে আনা হবে এবং নভেম্বর থেকে অতিরিক্ত সিম বন্ধ করা শুরু হবে।
অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী গণমাধ্যমকে বলেছেন, “শনিবার (১ নভেম্বর) থেকেই অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করব, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না।”
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ব্যবহারকারীর নামে ৫টির কম সিম, ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশের, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো ও প্রতারণা রোধের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে বা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করতে পারবেন।
সিম বন্ধ করার ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়ন’ (র্যান্ডম সিলেকশন) নীতি অনুসরণ করা হবে। এর ফলে কারও এনআইডিতে নিবন্ধিত গুরুত্বপূর্ণ সিমকার্ডও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৫৮ দিন আগে
যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহে ইলেকট্রিশিয়ানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৫
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাউন্সিল উত্তর শরীফপাড়া এলাকায় চোর সন্দেহে নামাজ পড়তে বের হওয়া এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন বাবু (৪৩) বিআইডব্লিউটিএ’র ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সকালের দিকে মিয়ার বাস মেরামতের গ্যারেজে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়ানতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহতের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ছোট ভাই সকালে নামাজ পড়তে বের হলে চোর সন্দেহে গ্যারেজে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে একটি গ্যারেজ থেকে হাত-পা বেঁধে রাখা অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিআইডব্লিউটিএ-এর ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তির পূর্বে মাদকাসক্তি সমস্যা ছিল এবং তাকে রিহ্যাব সেন্টারেও রাখা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, তিনি হয়তো কোথাও চুরি করতে গিয়েছিলেন, সেই সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
৫৮ দিন আগে
সিলেটের হাওরে মিলেছে নিখোঁজ কৃষকের লাশ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর হাওরে কৃষক হানিফ মিয়ার লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চানপুর খেয়াঘাট গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় রাউটি বিল হাওর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় হানিফ মিয়া গরু নিয়ে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে রাউটি বিলে পাড়ে যান। সন্ধ্যার পরেও তিনি বাড়িতে ফিরেননি। পরে সন্ধ্যায় তার স্ত্রী বিলের কাড়ার পাড়ে গিয়ে স্বামীকে না পেয়ে গরু নিয়ে ফিরে আসেন।
এরপর বিষয়টি গ্রামবাসীকে তার স্ত্রী জানালে মসজিদের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়। রাতভর হানিফ মিয়াকে খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিলে জাল ফেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৫৯ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলির পরামর্শ বিষয়ক কমিটি বাতিল
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে গঠিত জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার।
সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শামসুল আলম গত ২৭ অক্টোবর এক ফেসবুক পোস্টে এ কমিটির ভূমিকার সমালোচনা করার পর গতকাল (বুধবার) কমিটিটি বাতিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ছয় সদস্যের এ কমিটির সভাপতি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন— উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। আর সদস্য সচিব ছিলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম-সচিব ও এর উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়।
সে সময় কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিতে উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা হলে গত ২০ মার্চ তাকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়।
এরপর ২৫ আগস্ট সদস্য থেকে কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একইসঙ্গে কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কমিটি পুনর্গঠন করে সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য পদ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে বাদ দেওয়া হয়।
এদিকে, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শামসুল আলম গত ২৭ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এসএসবির (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) ভূমিকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ওনারা ওখানে বসে কী করেন? কেবল যোগ্য অফিসারদের আটকানো নাকি? জনপ্রশাসন কমিটির কাজটাই বা কী? রুলস অব বিজনেসের বাইরে গিয়ে করা এই অন্যায্য কমিটি মোখলেসের এইসব দুর্বৃত্তায়নকে বৈধতা দিয়েছে কেবল! কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হওয়া সচিব তাদের হাত দিয়েই গেছে!
তিনি আরও লেখেন, ‘এখনও ৩৪ জন ফ্যাসিস্ট সচিব থাকে কী করে? অথচ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অনুমোদনের পরও সিনিয়র মোস্ট যোগ্য কর্মকর্তাকে তার প্রাপ্য পদে বসতে দেননি এই মোখলেস গং। এতবড় অবিচার বাংলার ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। এই এসএসবি, এই কমিটি থাকায় মেধাবীদের দেশের জন্য কাজ করতে দেওয়া হয় না। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এত এত অন্যায় করতে আমরা হাসিনাকে তাড়াইনি। হিসাব দিয়ে যেতে হবে।’
৫৯ দিন আগে
জুলাই সনদ নিয়ে বিরোধ হতাশাব্যঞ্জক, গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ ও বিভাজনে হতাশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দীর্ঘ সংলাপের পরও ঐকমত্য না আসাকে তিনি ‘অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ক্যাবিনেটের মিটিংয়ে আজ সাধারণ একটা আলোচনা হয়েছে অনৈক্যের বিষয় নিয়ে। ঐকমত্য কমিশন দুইটা বিকল্প দিয়েছে— একটা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, গণভোট, ২৭০ দিনের মধ্যে না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এটার কোনো নজির আছে কিনা বা আদৌ সম্ভব কিনা, আমরা দেখব।’
‘আরেকটা হলো– এই দায়-দায়িত্ব নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এই দুই বিকল্পের মধ্যে কোনটা আসলে বেশি গ্রহণযোগ্য এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ আছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে আমাদের আল্টিমেটাম বা জোর করার ব্যবস্থা করে তার মানে হলো তাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই। তারা চাচ্ছেন যেন এই সরকার তাদের দলীয় অবস্থান সমর্থন করে। দুর্ভাগ্যজনক, আলোচনার জন্য তাদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছেন, জুলাইয়ের চেতনাকে কোথায় নিয়ে গেছেন, বিবেচনা করা উচিত।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘কিছু ভাইটাল প্রশ্নে তাদের আসলে ঐকমত্য হয় নাই। এর আগে আমরা জেনেছিলাম, বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম, দুই ধরনের বিরোধ বের হয়েছে। একটা হলো, কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে। আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে। এত দৃঢ়, পরস্পরবিরোধী এবং উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এ রকম একটা ভূমিকা নেন, তাহলে সরকার কী করবে— আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এতদিন আলোচনার পর আপনাদের যদি ঐকমত্য না আসে, তাহলে আমরা সত্যি কী করব, এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে।’
গণভোটের সময় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে নেবেন— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা তাকে সহায়তা করার জন্য থাকব।
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট কেউ নেবেন না, এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা নেবেন। আমাদের সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন হলে তিনি করবেন এবং আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, সেখানে আমরা দৃঢ় থাকব। আর সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেওয়া হবে।’
৫৯ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী দগ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে বড় হুজুর বাড়ি দারুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই মাদ্রাসার আট শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। আহতরা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টার দিকে আহতদের বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ ওই আট শিক্ষার্থী হলেন— সাদিয়া আক্তার (১২), রুবাইয়া (৯), আয়মান (৬), নুসরাত (১০), আলিয়া (৩০), তুইবা (৬), রওজা (১৩) ও আফরিন (১৩)।
দগ্ধ আফরিনের মামা মো. আনোয়ার জানান, আমরা বুধবার বিকেলের দিকে জানতে পারি মাদ্রাসার পাশে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছিল। আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই তাদের দগ্ধ অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
আজ সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এসেছে।
তাদের মধ্যে সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ, রওজার ৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ ও আফরিনের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি।
৬০ দিন আগে
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সহজবোধ্য করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্ত বই আকারে প্রকাশ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। আট খণ্ডের এ প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রতিবেদন সাধারণের সহজবোধ্য সংস্করণে প্রস্তুত করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বুঝাতে পারে।’
বইটি ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবিষ্যতে বইটি যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্য পাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, নিজেরা জানবে এবং এতে কী আছে তা তাদের মা-বাবাকেও জানাবে।’
প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
৬০ দিন আগে
গত তিন নির্বাচনে সম্পৃক্তদের মাঠ প্রশাসনে পদায়ন নয়: সরকার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১ নভেম্বর থেকে মাঠ প্রশাসন গোছানোর কাজ শুরু হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাঠ প্রশাসনে যেন এমন পদায়ন না হয়, যারা গত তিনটি নির্বাচনে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, ‘সেখানে (মাঠ প্রশাসনে) তারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে থাকুন না কেন, গত তিন নির্বাচনে তাদের যদি ন্যূনতম ভূমিকা থাকে, তাহলে যেন পদায়ন না হয়, এ বিষয়ে বলা হয়েছে।’
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে মূলত চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো— মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের পদায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য মোকাবিলার উপায়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সবচেয়ে যোগ্য লোকগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিয়োগ করতে হবে। বিগত তিনটি নির্বাচনে ডিসি, এডিসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের এবারের নির্বাচনে যুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।’
‘সেখানে (মাঠ প্রশাসনে) তারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে থাকুন না কেন, গত তিন নির্বাচনে তাদের যদি ন্যূনতম ভূমিকা থাকে, তাহলে যেন পদায়ন না হয়, এ বিষয়ে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন বৈঠকে অবহিত করেছে যে, তারা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বের বাইরে রাখতে কাজ করছে।
৬০ দিন আগে
নির্বাচন বানচালে দেশের ভেতরে-বাইরে অনেক শক্তি কাজ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। পরে বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের জন্য ভেতর থেকে, বাইরে থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে। ছোটখাটো নয়, বড় শক্তি নিয়ে বানচালের চেষ্টা করবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়ঝঞ্চাই আসুক না কেন, আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবে।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হবে। নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে এবং বাইরে থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হবে। এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে ছবি-ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটাকে দ্রুত সামাল দিতেই হবে এবং একটা অপপ্রচারের রচনা হওয়ামাত্র সেটা ঠেকাতে হবে, যেন তা ছড়াতে না পারে।
প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে এবং কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে— এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
এই উদ্দেশ্যেই তিনি নির্বাচন কমিশন এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সংখ্যক টিভিসি, ডকুমেন্টারি বা ভিডিও তৈরি করে তা যেন খুব দ্রুত ইউটিউবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। সবাই যেন এটা দেখে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে মূলত চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের পদায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য মোকাবিলার উপায়।
৬০ দিন আগে
নরসিংদীতে ‘স্বামীর দেওয়া আগুনে’ দগ্ধ স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যু
নরসিংদীর সদর এলাকায় স্বামীর দেওয়া পেট্রোল বোমার আগুনে দগ্ধ রিনা বেগম (৩৬) ও তার ছেলে ফরহাদ (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, গতকাল সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে রিনা বেগম এবং বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার ছেলে ফরহাদ মারা যান।
ডা. শাওন আরও বলেন, রিনা বেগমের স্বামী করিম পেট্রোল বোমা দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান দগ্ধ হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভোররাতে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
তাদের মধ্যে রিনা বেগমের শরীরের ৫৮ শতাংশ, ফরহাদের শরীরের ৪০ শতাংশ এবং তৌহিদের শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের তিনজনকেই এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
৬১ দিন আগে