বাংলাদেশ
প্রিন্টিং খরচ বাড়ায় ব্যাংক ঋণে ভর্তুকি ও সরকারি সহায়তা চান বই প্রকাশক ও বিক্রেতারা
কাগজের দাম ও প্রিন্টিং খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য সরকারের কাছে ব্যাংক ঋণে ভর্তুকি ও নীতিগত সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বই প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস), ঢাকার ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
সভায় বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রির ব্যবসায় টিকে থাকতে কঠিন সংগ্রাম করেন। তাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে এবং সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। করণ এটা শুধু ব্যবসা ব্যাবসা নয়, এটা একটি সমাজসেবামূলক কাজও।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের পাঠ অভ্যাসের পরিবর্তন করছে। তারপরও বই পাঠই জ্ঞানার্জনের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে টিকে থাকবে। আর এজন্য দরকার হবে ভালো বইয়ের।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০টি ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে, এখানে বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলা ভাষার একটা শক্তিশালী অবস্থান আছে। ভালো বই প্রকাশ বাংলা ভাষাকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে বই প্রকাশ ও বিক্রেতাকে পরিচ্ছন্ন চিন্তা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, বই বিক্রি বৃদ্ধি করতে হলে নামমাত্র মূল্যে বাংলা একাডেমির স্টল বরাদ্দ দিতে হবে, যাতে ছোট প্রকাশকরাও তাদের বই প্রকাশ করতে পারে।
তিনি সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরকারি বাংলো ও প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় বিনা ভাড়ায় বইমেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নিতে প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. আজিজ বলেন, যত বেশি বইমেলা হবে, তত মানুষের মধ্যে বই এর পরিচিতি বাড়বে, নতুন পাঠক তৈরি হবে এবং বই বিক্রি বাড়বে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপুসের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মদ গোলাম এলাহী জায়েদ, মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, মো. আলমগীর, কাজী শাহ আলম, শেখ আজিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু সাঈদ প্রমুখ।
পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতি, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান ও মাহমুদ হাসান বিপ্লব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এম এ মুসাসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালকবৃন্দ, রাজধানী শাখার কোষাধ্যক্ষ শ্রী শিপন চন্দ্র পালসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, থানা শাখাগুলোর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সকল সদস্যবৃন্দ।
৬৪ দিন আগে
দেশে ৩১৪টি উপজেলাকে ‘সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা’ চিহ্নিত
সারা দেশে ৩১৪টি উপজেলাকে ‘সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরের ৩৭ হাজার সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সংগঠনটি থেকে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এর মধ্যে ১৩৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা, ১৭৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা, এবং ২১টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
চরম ঝুঁকিপূর্ণ ২১টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে— ঢাকার ধামরাই ও ঢাকা সদর; গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর; টাঙ্গাইলের কালিহাতী; মাদারীপুরের শিবচর ও টেকেরহাট; ফরিদপুরের ভাঙ্গা; পাবনার ঈশ্বরদী; বগুড়ার শেরপুর; নাটোরের বড়াইগ্রাম; চট্টগ্রামের মিরসরাই, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড; কক্সবাজারের চকরিয়া; চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা; বরিশালের গৌরনদী; হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকা।
এই ২১টি উপজেলা ১৩৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। ঢাকা বিভাগে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ৩০টিরও বেশি উপজেলা রয়েছে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার তালিকায়, এর মধ্যে আছে ঢাকা সদর, ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল সদর ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগেও একাধিক উপজেলা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
১️. সড়কের নকশা ও অবকাঠামোগত ত্রুটি
২. সড়ক নিরাপত্তা উপকরণের অভাব (সাইন, মার্কিং, বিভাজক ইত্যাদি)
৩️. যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে জনবল ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা
৪️. একই সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল
৫️. চালকদের দক্ষতার অভাব
৬️. সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকার জনবসতির অসচেতনতা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩১৪ এলাকার বাইরেও দুর্ঘটনা ঘটছে, তবে তা নিয়মিত নয়। যেসব এলাকায় ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে, সেগুলোকেই এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা ও গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার পরিসরও বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচিত একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।
৬৪ দিন আগে
নজরুল ইসলামের পিতার মৃত্যুতে ডিক্যাবের গভীর শোক
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সদস্য ও ঢাকা পোস্ট’র কূটনৈতিক প্রতিবেদক নজরুল ইসলামের পিতা মো. নুরুল আমিনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।
ডিক্যাব সভাপতি একে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন এক যৌথ শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান।
তারা বলেন, মরহুম নুরুল আমিন ছিলেন একজন সদালাপী, সৎ, ধর্মপ্রাণ ও সবার প্রিয় মানুষ। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, বন্ধুমহল ও শুভানুধ্যায়ীরাও হারালেন এক আন্তরিক ব্যক্তিত্ব।
মরহুম নুরুল আমিন স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৬৫ দিন আগে
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন: জার্মান রাষ্ট্রদূত
আগামী বছর বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এই প্রেক্ষাপটে সব দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটস।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশটির একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন—এমন একটি নির্বাচন যেখানে একাধিক রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আগামী বছর বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।’
ড. লোটস বলেন, ‘এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এশিয়া ও বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের সারিতে দেশটির পুনঃঅভ্যুদয়ের একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। তাই এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিশাল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অসাধারণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি তাদের শুভকামনা জানাই এবং বাংলাদেশের জনগণকেও তাদের গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।’
৬৬ দিন আগে
নওগাঁ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
নওগাঁর পোরশা সীমান্ত থেকে আইয়ুব আলী (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ২৩১ নম্বর পিলার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আইয়ুব আলী উপজেলার নিতপুর গোপালগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নানের সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলী আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ২৩১ নম্বর পিলার সীমান্তের কাছে মাঠে কাজ করতে যায়। এ সময় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
একজন সাধারণ কৃষককে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা আইয়ুব আলীকে আটক করে ভারতের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৬৬ দিন আগে
শুক্র ও শনিবার সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ও শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সিলেট বিউবো (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প ৩৩ কেভি সোর্স লাইন নির্মাণের কাজ জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই সময় শেখঘাট উপকেন্দ্রের অধীনস্থ সব ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নগরীর জল্লারপাড়, কীন ব্রিজ, নবাব রোড, লালা দীঘিরপাড়, ঘাসিটুলা, পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস এক্সপ্রেস, কলাপাড়া, ভাতালিয়া, সিজিএম কোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেতার, সাগর দীঘিরপাড়, দাড়িয়াপাড়, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, ছায়ানীড়, ছায়াতরু, সরষপুর গলি, মদন মোহন কলেজ, লামাবাজার (আংশিক), মাছুদিঘীরপাড়, রামেরদিঘীরপাড়, তালতলা, তেলিহাওড়, শেখঘাট, শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকা, পশ্চিম কাজিরবাজার, জিতু মিয়া পয়েন্ট, কুয়ারপাড়, বিলপাড়, ইঙ্গুলাল রোড, লালাদীঘিরপাড়, নবীন আবাসিক এলাকা ও ভাঙ্গাটিকর এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না।
বিউবো জানিয়েছে, কাজ শেষ হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃচালু হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, সিলেট বিউবো (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নিয়ন্ত্রনাধীন ১১ কেভি ফিডার সমূহের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ, রাইট অফ ওয়েতে গাছপালা কর্তন এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বালুচর ফিডার লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
১১ কেভি বালুচর ফিডারের আওতাধীন এলাকাসমূহ হলো: বালুচর, শান্তিবাগ আ/এ, সোনার বাংলা আ/এ, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস এবং আশেপাশের এলাকায়। নিরাপত্তার স্বার্থে সাট-ডাউনের সময়কালীন সময় লাইন চালু থাকলেও বন্ধ হিসেবে গণ্য হবে।
নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ তাৎক্ষণিকভাবে পুনঃচালু করা হবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
৬৬ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিচারকাজ শেষ, রায়ের দিন ধার্য ১৩ নভেম্বর
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম। প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁরও খালাস চাওয়া হয়েছে। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
বহুল আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ আবু সাঈদের পিতা ও স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এ ছাড়া ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। এই মামলায় সর্বমোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর একটি হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
৬৭ দিন আগে
ভারতীয় জেলেদের ইলিশ ধরার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: মৎস্য উপদেষ্টা
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে জেলেরা এসে বঙ্গোপসাগর যখন ফাঁকা থাকে তখন ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, ‘সাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে, বিষয়টি জানার পরপরই কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরের সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআইএ) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে। সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে। সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরা ও ইলিশের বাজার বসার খবরের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। একাধিক স্থানে জেলেদের হামলার শিকার হতে হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সকল জেলের জন্য পর্যাপ্ত চালের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহা পরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. জাহের, পশুসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তব্যকালে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গবেষণাকাজে প্রান্তিক মানুষের কথা এবং গ্রামের মহিলাদের কথা ভাবতে হবে। গ্রামীণ মুরগির উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গবাদিপশুর খাদ্যে যারা উপাদান হিসেবে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে, তারা দেশের শত্রু। এসব উপাদানে অত্যাধিক মাত্রায় কেমিক্যাল পাওয়া গেছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. জাহের বলেন, ‘গবেষণাকাজে বাজেট বাড়ানোর জন্য বরাবরই দাবি তোলা হচ্ছে। গবেষণায় সাধারণ মানুষের কী কী উপকারে আসে তা সবার আগে দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের কাজ না হলে বাজেট কমাতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিম, মুরগি, গরুর মাংসের দাম বেশি— সর্বদা এ কথা শুনতে হয়। তবে এ কথাও ভাবতে হবে যে আমাদের দেশে খাবারের দাম বেশি।’
৬৭ দিন আগে
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে সরকারের ১২টি নতুন নির্দেশনা
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা থেকে ১২টি নির্দেশনা সংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন)-এর ধারা ১৩ অনুযায়ী প্রণীত ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নির্দেশিকা, ২০২৩’ (এসআরও নম্বর-১৬৫-আইন/২০২৩, তারিখ: ২৩ মে ২০২৩)-এর আলোকে এই নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি এবং পর্যটক উপস্থিতিও এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা শুধুমাত্র দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত্রিযাপন করা যাবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপনের অনুমতি থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বা বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়া সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক, যেমন: চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নাজুক পরিবেশ ও অনন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকবে এবং দ্বীপটি দায়িত্বশীল ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে আশা করছে সরকার।
উল্লেখ্য, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক সভা গতকাল (মঙ্গলকার) পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ই-টিকেটিং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৬৮ দিন আগে
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ সব আসামি খালাস
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আলাদা দুটি মামলায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল ওই রায় দেন। অপর ৪৫ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।
আজ আপিলের শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আসামীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
আডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা পেনাল কোড অনুযায়ী, একটি অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে এবং একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
তিনি আরও জানান, পেনাল কোডের মামলায় ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছর করে এবং বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলার সাজা থেকে হাবিবুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। অন্য আসামিদের বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি পৃথক মামলায় সাতক্ষীরার আদালত হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি আসামিদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন। আজ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৬৮ দিন আগে